জাতীয়

ঈদের দিনে বৃষ্টিতে দর্শনার্থী খরা ঢাকা চিড়িয়াখানায়

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ঈদের দিন বৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের পর রাজধানীতে বৃষ্টি কমে এলেও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থী খরা। তবে শেষ বিকেলে দর্শনার্থীর সমাগম বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরের পর ঈদে রাজধানীতে বিনোদনের প্রধান কেন্দ্রস্থল মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী আসা শুরু করে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।

আরও পড়ুন: ঈদ বিনোদনে বাড়তি নিরাপত্তা জাতীয় চিড়িয়াখানায়

ঈদের সময় চিড়িয়াখানা গেট ও টিকিট কাউন্টারে চিরচেনা জটলা দেখা যায়নি। চিড়িয়াখানার বাইরে হকারের উপস্থিতিও ছিল কম। দুপুরে ময়ূরের পাখা বিক্রেতা সজীব বলেন, সারাদিনে কোনো বেচাবিক্রি নেই। বিকেলে দর্শনার্থী হয়তো কিছুটা বাড়বে।

Advertisement

দুপুরে সরেজমিনে চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বেশিরভাগ দর্শনার্থী। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল কম। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ প্রাণী ছিল শেডের নিচে। বানর, বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ ও জিরাফকে খাঁচায় দেখছেন তারা। কেউবা নিজের ছবি তুলছেন, কেউ কেউ বিভিন্ন প্রাণীর ভিডিও করছেন।

মিরপুর কালশী থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তুহিন চার বন্ধুকে নিয়ে এসেছেন। বাসায় সবাই কোরবানির পশু কাটাকাটিতে ব্যস্ত, তাই বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন। ঘোরাঘুরি শেষে বিকেলে কোথাও খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় ফিরবেন বলে জানান। গাবতলী থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সায়মন একাই এসেছেন। বেলা ১১টায় এসে বিকেল পর্যন্ত ঘুরে বাসায় ফিরবে সে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি উপেক্ষা করে চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড়

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ আজ কোরবানি করছেন। এ কারণে আজ দর্শনার্থী কম। আগামীকাল দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে। আশা করছি আগামীকাল লাখো দর্শনার্থীর সমাগম হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, অন্যান্য ঈদের মতো এবারও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য নতুন করে ৬০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে পুরো চিড়িয়াখানায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।

স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী মামুন বলেন, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে ঝিনাইদহে গ্রামের বাড়িতে যাই। তবে এবার ঈদে ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় ঘুরবো বলে বাড়ি যাইনি। বৃষ্টি বাধা উপেক্ষা করে চিড়িয়াখানায় এসেছি।

এসএম/এমকেআর/জিকেএস