ভ্রমণ

চট্টগ্রামে যেভাবে পালিত হয় ঈদুল আজহা

কামরান চৌধুরী

Advertisement

বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দুটো আনন্দের উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এই দুটো খুশির দিন বিশ্বের সব দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও বৃহৎ আয়োজনের সঙ্গে পালন করা হয়।

এই দেশের সব অঞ্চলে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে এই দুটি ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামও যেন পিছিয়ে থাকে না।

আরও পড়ুন: এবারের ঈদে যে কারণে সুন্দরবনে যেতে পারবেন না পর্যটকরা

Advertisement

আপ্যায়ন, ভোজনরসিক, পাহাড়-সমুদ্র প্রিয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষদের জন্য ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা যেন একেকটি ঐতিহ্যের ধারক। চট্টগ্রাম অঞ্চলে শহর ও গ্রাম মিলে ঈদ পালন হয়।

তবে এই অঞ্চলের কিছু এলাকায় ও গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে থাকে। এছাড়া বাকি এলাকাগুলোতে পুরো বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখেই উদযাপন করা হয়।

ঈদ আসতেই পুরো চট্টগ্রাম যেন থাকে এক ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ। শহর, উপশহর কিংবা গ্রাম, সর্বত্র যেন থাকে বাণিজ্যিক ব্যস্ততায় ভরপুর। কাঁচাবাজার, মার্কেট, রেস্তোরাঁ, মসজিদ যেন থাকে ধর্মপ্রাণ সব মুসলিমদের ভিড়।

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন মনোমুগ্ধকর রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সড়ক

Advertisement

দেশের অনান্য অঞ্চলের মতো পবিত্র ঈদুল আযহা পালনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর অঞ্চলগুলোতে বসে কোরবানি পশুর হাট। ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত প্রায় দুই-তিন সপ্তাহ এই হাট বাজারগুলো ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট থাকে।

দুই ঈদে এই শহরের বিশ্ব মসজিদ খ্যাত জমিয়াতুল ফালাহ’য় হয় চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। চট্টগ্রামে ঈদের এক সপ্তাহ আগে শহরের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে ঈদ পালন করতে যান। তাই ঢাকা শহরের মতো এখানকার শহরও থাকে প্রায় অনেকটা ফাঁকা।

আরও পড়ুন: ঈদে পরিবার-প্রিয়জন নিয়ে ঘুরে আসুন ‘ঠিকানায়’

তবে ঈদের দিন চট্টগ্রামের বিনোদনের স্থানগুলোতে থাকে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড়। চট্টগ্রাম শিশু পার্ক, ফয়েজ লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, সিআরবি, জাম্বুরি পার্ক, আউটার লিংক রোড, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, ডিসি হিল, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ আরও বেশ স্থানে থাকে দর্শনার্থীদের ব্যাপক আনাগোনা।

ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঈদ আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী মেজবান যেন বাদ পড়ে না। চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী কিংবা শিল্পপতি মিলে অনেক সময় বড় ধরনের মেজবানি আয়োজন করে থাকে। ভোজন রসিক চট্টগ্রামবাসী যেন এই আয়োজন ব্যাপকভাবে উপভোগ করে থাকে।

লেখক: শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।

জেএমএস/এএসএম