যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যের মতো মিশিগানেও উদযাপিত হলো বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহা। বুধবার (২৮ জুন) বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঈদের জামাতস্থলে দলবেঁধে আসতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
Advertisement
সকাল ৮টায় শুরু হয় বাংলাদেশি আমেরিকানদের পরিচালনায় ডেট্রয়েট সিটির জেইন ফিল্ড মাঠে বৃহত্তম জামাতের একটি ঈদের নামাজ। দৃষ্টিনন্দন এই মাঠে কয়েক হাজার বাংলাদেশি-আমেরিকান, এরাবিয়ান ও আফ্রিকান মুসলমানদের উপস্থিতি ছিল লোকে লোকারণ্য।
ঈদের জামাতে কোরবানি দেওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন ডেট্রয়েট সিটির বায়ডুল মোকাররম মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমেদ কাশেম এবং নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদ্দুন নুরের ইমাম মাওলানা আবু সিদ্দীক। খুতবা পরবর্তী দোয়ায় পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজনসহ দেশ ও বিশ্ব শান্তির মঙ্গল কামনার্থে মোনাজাত করা হয়।
মিশিগানে বাংলাদেশিদের আগমন বহুকাল হলেও সাধারণত বসবাস করতেন ডেট্রয়েট, হ্যামট্রামেক শহরে। কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশিদের আগমন বাড়তে থাকায় দুই পরিচিত শহর ছাড়াও ওয়ারেন, ট্রয়, স্টারলিং হাইটস, শেলবী টাউনশিপ, ম্যাকম্ব, ক্যান্টন, এনআরবার শহরেও বাংলাদেশিরা বসবাস করছেন। গড়ে তুলেছেন অর্ধশতাধিক মসজিদ-মাদরাসা।
Advertisement
এবারের ঈদে সম্মিলিতভাবে ঈদের নামাজ আদায় করতে ওয়ারেন সিটির হলমিছ পার্ক, আল ফালাহ,আল ইসলাহ, বায়তুল মামুর, দারুল উলুম মিশিগানসহ বাংলাদেশিদের পরিচালনায় অন্যান্য শহরে ২০টির অধিক মসজিদে কয়েক হাজার মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে এই ঈদুল আজহা থেকে মিশিগানের হ্যামট্রামেক সিটিতে এবারই প্রথম প্রকাশ্যে কোরবানি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীরা আনন্দ উল্লাস করছেন। এমনকি হ্যামট্রামেক ও ডিয়ারবন সিটিতে মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবের জন্য সিটিতে কর্মরত চাকরিজীবিরা সরকারি ছুটিও ভোগ করছেন।
এমআরএম/এএসএম
Advertisement