জাতীয়

সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষাই ট্রাফিক পুলিশের ঈদ

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে উদযাপন করা হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এদিন মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুয়ায়ী পশু কোরবানি করছেন। তবে পেশাগত কারণে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ঈদের আনন্দ। মানুষের ঈদ আনন্দ নির্বিঘ্ন করতে তারা কাজ করছেন ঈদের দিনেও।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) পল্টন, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও সড়কে শৃঙ্খলা রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছেন তারা।

আরও পড়ুন: ঈদের দিনে বৃষ্টিতে ফাঁকা ঢাকার সড়ক

কথা হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আরমান হোসেনের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, রোজার ঈদে ছুটি কাটিয়েছি, এবার ছুটি পাইনি। পরিবার ছাড়াই রাস্তায় ঈদ করতে হচ্ছে। আমাদের পেশাটাই তো এমন। মানুষের সেবার ব্রত নিয়েই এই পেশায় এসেছি। পরিবারের লোকজনেরও অনেকটা অভ্যাস হয়ে গেছে।

Advertisement

ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের রামপুরা জোনের পুলিশ সার্জেন্ট কে এম শাহরিয়ার রুমী রানা জাগো নিউজকে বলেন, পরিবার ছাড়া ঈদ করতে সবসময় খারাপ লাগে। খুব ইচ্ছে করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। কিন্তু সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের ঈদের দিনও ডিউটি করতে হয়। যখন দেখি আমাদের এই কষ্টের জন্য হাজারো মানুষ নিরাপদে তার পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারছে, সেটা দেখেও মনে আলাদা একটা শান্তি অনুভব করি।

আরও পড়ুন: ব্যস্ত সড়কে ট্রাফিক পুলিশই বেশি ঝুঁকিতে

তিনি বলেন, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সবারই অভিযোগ থাকে যে এমন চাকরি করি যে ঈদেও ছুটি পাই না। তার পরেও চাই সবাই নিজের পরিবারের সঙ্গে অনেক আনন্দে ঈদ উদযাপন করুক। সবার নিরাপত্তায় ও নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছে দিতে আমরা আছি।

মতিঝিল জোনের দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রাফি জানান, পরিবার ছাড়া ঈদ করতে কারোরই ভালে লাগে না। সত্যি বলতে পেশাদারত্বের জায়গা থেকে ঈদের দিনের ডিউটি উপভোগ করছি। পরিবার থেকে সেরকম কোনো অভিযোগ না থাকলেও পরিবার আমাকে মিস করছে, যা কিছুটা কষ্টদায়ক। ঈদের তৃতীয় দিন আমার ছুটি, আমার ঈদ মূলত সেইদিন থেকে শুরু।

Advertisement

আইএইচআর/কেএসআর/এএসএম