জাতীয়

ঈদ বিনোদনে বাড়তি নিরাপত্তা জাতীয় চিড়িয়াখানায়

ঈদে রাজধানীবাসীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ছোট-বড় সবাই ঈদ আনন্দ উৎযাপনে ঘুরতে যান চিড়িয়াখানায়। এ জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে চার স্তরের নিরাপত্তা ও আরও ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে চিড়িয়াখানার ভেতরের বিভিন্ন স্থানে। বুধবার (২৮ জুন) কর্তৃপক্ষের কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

Advertisement

জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জাতীয় চিড়িয়াখানায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বল্পমূল্যে খাবারের ব্যবস্থাসহ নতুনভাবে পুরো চিড়িয়াখানা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এ ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়তি প্রায় চার লাখ দর্শনার্থীর আগমন হবে বলে ধারণা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে তাদের দাবি।

চিড়িয়াখানা থেকে জানা গেছে, ঈদে বাড়তি দর্শনার্থী সামাল দিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। হায়েনা ও ভালুকের শেড আরও উচু করা হয়েছে। ভেতরের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে আরও ৬০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। চার লাখ দর্শনার্থীর কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য একটি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সকাল-সন্ধ্যা পুরো চিড়িয়াখানা মনিটরিং করবেন।

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বুধবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্যান্য ঈদের মতো এবারও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা বসানো হয়েছে। এ জন্য নতুন করে ৬০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে পুরো চিড়িয়াখানাজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, এবার ঈদে চিড়িয়াখানায় চার লাখ দর্শনার্থীর আগমন হতে পারে। ঈদের দিন কোরবানির পশু কাটায় ব্যস্ততার জন্য সেদিন দর্শনার্থী কম হবে। দ্বিতীয় দিন থেকে ঈদের চতুর্থ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন লক্ষাধিক প্রাণীপ্রেমীর আগমন হতে পারে। তাদের বিনোদন বাড়িয়ে দিতে চিড়িয়াখানার ভেতর-বাইরে সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এমএইচএম/বিএ/জিকেএস