পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। তবে আজ থেকে শুরু হয়েছে অন্যান্য অফিসের ছুটি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে এরই মধ্যে ঢাকা ছেড়েছে অধিকাংশ মানুষ। ফলে রাজধানীর সড়কগুলোতে নেই তেমন ব্যস্ততা।
Advertisement
বুধবার (২৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে অন্য সময়ের মতো গণপরিবহন নেই। মাঝেমধ্যে কিছু বাস আসলেও তেমন যাত্রী নেই। যাত্রী না পেয়ে একই জায়গায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাসগুলোকে। একই অবস্থা অন্য গণপরিবহনেরও। সাধারণত সিএনজি অটোরিকশার বাড়তি কদর থাকলেও এখন যাত্রী খরায় অনেক সিএনজি চালক অলস সময় পার করছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বৃষ্টি, ঈদযাত্রা-পশুর হাটে ভোগান্তি
তবে কিছুটা উল্টোচিত্র বাস টার্মিনালগুলোতে। ঈদের আগের দিন হওয়ায় আজ দূরপাল্লার গণপরিবহনে যাত্রীর চাপ রয়েছে। ফলে টার্মিনালেও দূরপাল্লার বাসের ভিড়। তবে সড়কে তেমন যানজট না থাকায় অনেকটা নির্বিঘ্নেই ঢাকা ছাড়তে পারছে এসব পরিবহনগুলো। কোরবানির ঈদের একটি পরিচিত দৃশ্য পশু পরিবহনকারী যানবাহনের চলাচল। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে পশু পরিবহনকারী এসব যানবাহনের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রার শেষ দিনেও ট্রেনে যাত্রীর চাপ
মিরপুর থেকে ধোলাইপাড় আসা হিমেল মাহমুদ বলেন, রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। আমি মিরপুর এক নম্বর সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে সিএনজিতে উঠেছি। কোনো সিগন্যালেই পড়তে হয়নি। ২০ মিনিটেই ধোলাইপাড় চলে আসছি। ভেবেছিলাম পশুর হাটের জ্যামে পড়বো, সে ধরনের সমস্যায়ও পড়তে হয়নি।
এদিকে, হাটকেন্দ্রিক কিছুটা জটলা তৈরি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। শনির আখড়া থেকে যাত্রাবাড়ীগামী পরিবহনগুলোকে ভাঙা রাস্তার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ফলে এই সড়কে কিছুটা যানজট দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট
Advertisement
রাইদা পরিবহনের হেলপার সাব্বির জানান, সকাল থেকে একটা আপ-ডাউন ট্রিপ দিয়েছি। রাস্তায় যানজট নেই, আবার যাত্রীও তেমন নেই। আজকের খরচ ওঠানোই কষ্টকর হয়ে যাবে। দেখি পরে যাত্রী বাড়ে কি না। এমন থাকলে আগামীকাল আর গাড়ি বের করবো না। খরচ না উঠলে কষ্ট করে লাভ কী?
আইএইচআর/কেএসআর/এএসএম