ভ্রমণ

ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন মনোমুগ্ধকর রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সড়ক

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। তাই তো দূর-দূরাত্ব থেকে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা ছুটে আসেন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তেমনই একটি নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি হয়ে কাপ্তাই যাওয়ার সড়কে ভিড় করেন পর্যটকরা।

Advertisement

রাঙ্গামাটির শহরের আসামবস্তি থেকে কাপ্তাই সড়কটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এ পুরো সড়কে চোখে পড়বে উঁচু-নিঁচু সবুজে ঘেরা পাহাড় ও নীল জলরাশির কাপ্তাই হ্রদ। সড়কটির একপাশে পাহাড় আর অন্যপাশে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য যে কোনো ভ্রমণ প্রিয় মানুষের মন ছুঁয়ে দিয়ে যায় মুগ্ধতায়।

আরও পড়ুন: ঈদে পরিবার-প্রিয়জন নিয়ে ঘুরে আসুন ‘ঠিকানায়’

পাহাড়ের উপর থেকে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য যেমন মন কাড়ে, ঠিক তেমনি অপর পাশে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সবুজে ঘেরা পাহাড়ও মন কাড়বে আপনার।

Advertisement

বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম একটি প্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে এই ১৮ কিলোমিটার সড়কটি। তাই এখানে নির্মাণ করা হয়েছে ‘আই লাভ রাঙ্গামাটি’ স্পট। সড়কের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় পাহাড়িদের বাজার ও দোকান আরও বেশি পছন্দের জায়গা করে নিয়েছে পর্যটকদের।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি রাঙ্গামাটিতে এ প্রথমবার বেড়াতে এসেছি, সবার মুখে এ সড়কের কথা বহুবার শুনেছি তাই এখানে বেড়াতে আসলাম। বেশ ভালো লাগছে এখানের পরিবেশ। উঁচু-নিঁচু রাস্তা, পাহাড় ও কাপ্তাই হ্রদের সুন্দর দৃর্শ বেশ মনোমুগ্ধকর।’

আরও পড়ুন: বর্ষায় রূপ ফিরছে হাকালুকি হাওরে, থই থই করছে পানি

দুবাই প্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আমি প্রায় তিন বছর পর দেশে এবার কোরবান করতে এসেছি, এ সুযোগে রাঙ্গামাটি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা।’

Advertisement

‘সেখান থেকে আমি বেড়ানোর জন্য বের হয়েছি। এ সড়ক দিয়ে যখন আসছিলাম তখন অবাক হয়ে চারপাশের পরিবেশ উপভোগ করছিলাম। পাহাড় ও হ্রদের যে সৌন্দর্য তা দেখে মুদ্ধ হয়ে গেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কটি দিয়ে আসার সময় বিভিন্ন স্থানে পাহাড়িদের বাজার দেখেছি বেশ ভালো লাগছিলো দেখে।’

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকার মধ্যেই ঘুরবেন যেসব স্পটে

ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমি স্বামী সন্তান দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশে এসেছি। তাই রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসা। এখানে এসে রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই রাস্তাটি দেখে বেশ মুদ্ধ হয়েছি। এখানের পরিবেশ মনকে ছুঁয়ে দিয়ে গেলো। আমি আবারও আসতে চায় এখানে।’

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাঈম উদ্দীন বলেন, ‘আমি প্রায় সময়! বলা চলে বেশিরভাগ শুক্রবারের দিন বাইক নিয়ে এদিকে বেড়াতে আসি। পুরো সাপ্তাহের যে ক্লান্তি তা যেনো একদিনে এদিকে এসে সময় কাটালে চলে যায়। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ সাথে এক কাপ গরম চা আর কি লাগে ক্লান্তিকে দূর করতে।’

এসএইউ/জেএমএস/এএসএম