দেশজুড়ে

ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ

মাত্র একদিন পরেই কোরবানির ঈদ। দিনটি উদযাপন করতে আর নাড়ির টানে বাসের ছাদসহ ট্রাক ও পিকআপভ্যানে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষ।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৭ জুন) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস, ঘারিন্দা বাইপাস ও রাবনা এলাকা ঘুরে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকলেও থামানো যাচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রা। এতে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।

সরেজমিন দেখা গেছে, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদযাত্রায় মহাসড়কে কয়েক দ্বিগুণ হয়েছে যানবাহনের সংখ্যা। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, পশুবাহী বাহন ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ওইসব যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষরা। পাশাপাশি যাত্রী পরিবহন করছে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার।

মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ নিরলস কাজ করছে।

Advertisement

সরেজমিন কথা হয় বগুড়াগামী পোশাক শ্রমিক আয়শা, বিলকিসের সঙ্গে। তারা জানান, সাভার থেকে ট্রাকে বগুড়া যাচ্ছেন। জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দুইশ টাকা। বাসে বেশি ভাড়া দিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলেই তারা ট্রাকে যাচ্ছেন।

রংপুরগামী যাত্রী ফিরোজ বলেন, বাসের টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রাকে যাচ্ছি। পরিবার নিয়ে বাড়িতে ঈদ করবো বলে ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট শিবু নাথ সরকার বলেন, ট্রাক, পিকআপসহ খোলা পরিবহনে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ। এ ধরনের পরিবহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ সতর্ক করা হচ্ছে। তবে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির কথা ভেবে সব গাড়ি আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরার বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। ঈদযাত্রার কারণে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে যেখান থেকে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে উঠছে, সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া আছে।

Advertisement

আরিফ উর রহমান টগর/এমআরআর/জেআইএম