ফিচার

৩০০ বছর আগে আবিষ্কার হয় ফ্রিজ

খাবার ভালো রাখতে এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে ফ্রিজ ব্যবহার করেন সবাই। কাঁচা সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, রান্না করা খাবার সবকিছু সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে। এমনকি অনেক শুকনা খাবার আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

Advertisement

তবে জানেন কি, ফ্রিজ কিন্তু মোটেই আধুনিক যুগের স্মার্ট গ্যাজেট নয়। এটি আবিষ্কার হয়েছিল আজ থেকে ৩০০ বছর আগে। এই তথ্যে অনেকেই অবাক হয়েছেন নিশ্চয়ই! আজ ২৬ জুন বিশ্ব ফ্রিজ দিবসে চলুন জেনে নেওয়া যাক এর আবিষ্কারের গল্প। ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর আবিষ্কার হয়েছিল মূলত খাবার সংরক্ষণের জন্যই। প্রাচীন গ্রিক, রোমান ও হিব্রুরা সারাবছর খাবার সংরক্ষণের জন্য ‘আইস হাউস’ তৈরি করত। যা মূলত ছিল বরফের তৈরি একটি ঘর। যাকে হিমাগার বলা যেতে পারে। তবে ফ্রিজারেটরের আবিষ্কারের আগে মানুষ খাদ্য সংরক্ষণ কিংবা ভালো রাখার চেষ্টা করত বরফ, তুষার বা ভূগর্ভস্থ স্টোরেজের মাধ্যমে। সেখান থেকেই এই বরফ ঘরের ধারণা আসে তাদের।

১৭৫০ এর দশকে স্কটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম কুলিন ছোট একটা রেফ্রিজারেশন মেশিন নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন। ওই যন্ত্রটা দিয়ে তিনি এক টুকরা বরফ তৈরই করতে পেরেছেন। যদিও এর কাজ তিনি ১৭২০ সালে শুরু করেছিলেন। এ যন্ত্রে তিনি তাপ শোষণের জন্য একটি ভ্যাকুয়াম পাম্প ব্যবহার করেন। তিনি তার তত্ত্বে দাবি করেন, দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যাবে, এমন একধরনের গ্যাস ব্যবহার করেই খাদ্যবস্তু ও পানীয় ঠান্ডা রাখা সম্ভব।

আরও পড়ুন: যেভাবে ব্যয় হয় পাগলা মসজিদের দানের টাকা

Advertisement

এরও অনেক আগে চীনারা হিমায়নের ধারণা এনেছে। চীনের লোকেরা ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বরফ কেটে তার ভেতর খাবার সংরক্ষণ। এর ৫০০ বছর পর মিশরীয়রা হিমায়ন পদ্ধতি আবিষ্কার করে। তারা বরফ তৈরির জন্য রাতে মাটির পাত্র বাইরে রেখে দিত। এরপর তার ভেতর অন্যান্য খাবার রাখত দিনের পর দিন সংরক্ষণ করার জন্য। ১৮ শতকে, ইউরোপীয়রা লবণাক্ত বরফকে ফ্ল্যানেলে মুড়িয়ে মাটির নিচে রেখেছিল।

তবে যখন বরফ থাকত না তখন তারা পানির নিচে জিনিসপত্র রাখত। ১৮৪২ সালে জন গরিরি প্রথম হিমায়ন পদ্বতি তৈরি করেন, যা বরফ তৈরি করতে সক্ষম হয়। যদিও এই পদ্বতি বেশি ফলপ্রসু হয়নি। এরর ১৮৫৬ সালে জেমস হ্যরিসন প্রথম ব্যবহারিক কম্প্রেশন হিমায়ন সিস্টেম তৈরি করেন। সর্বশেষ ১৯১৩ সারে ফ্রেড ডাব্লিউ ওলফ প্রথম গার্হস্থ্য রেফ্রিজারেটর তৈরি করেন। এরপর এর নানান বিবর্তন শেষে বর্তমানের ফ্রিজে এসে পৌঁছেছে। যা এখন আমরা এখন ব্যবহার করছি। এটিই প্রথম ফ্রিজ হিসেবে ব্যাপক হারে ব্যবহার শুরু হয়।

সূত্র: লাইভ সাইন্স, ন্যাশনাল টুডে

কেএসকে/এএসএম

Advertisement