ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে ঢাকায় প্রবেশে যাত্রাবাড়ীর কয়েক কিলোমিটার এলাকা দীর্ঘ যানজটে পড়েছে। এ মহাসড়কের পাশে বসে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। পশুর হাট বসানো ও কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তা ভাঙা থাকায় এ যানজট হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
এ মহাসড়কে গত কয়েকদিন ধরেই যানজট থাকছে বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে যানজট আরও তীব্র হচ্ছে।
আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে এরই মধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
ঢাকা ছাড়া এবং ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে যাত্রাবাড়ী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
Advertisement
সোমবার সকাল ৯টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা থেকে যানজট রায়েরবাগ ছাড়িয়ে বহুদূর চলে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার দিকে এ যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে বলে জানিয়েছেন এ রুটে চলাচল করা যাত্রীরা।
কাজলা এলাকায় এ মহাসড়কের একটি অংশ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে উঠে গেছে। অপেক্ষাকৃত সরু অংশটি চলে গেছে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায়। ফ্লাইওভারে ওঠার অংশটি ভালো থাকলেও চৌরাস্তায় যাওয়ার অংশটি খুবই খারাপ।
কাজলা এলাকার দোকানদার সবুজ মিয়া বলেন, সব নজর ফ্লাইওভারে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক মানুষ ফ্লাইওভারে না ওঠে যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। কিন্তু বছরের পর বছর রাস্তাটি ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু দেখার কেউ নেই। বৃষ্টি হলে এ রাস্তা প্রায় ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তায় এত ভাঙা যে ধীরে ধীরে একটা একটা করে গাড়ি যেতে হয়। আর এতে জট লেগে থাকে।
রাজধানীর গুলিস্তানের একটি মার্কেটের বিক্রয়কর্মী মো. শাহ আলম বলেন, গত দুই-তিন দিন ধরে রায়েরবাগ থেকে ফ্লাইওভারে উঠতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। অথচ দুই মিনিটেরও পথ না। কাজলার পরে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার রাস্তাটা ভাঙা থাকায় ওই দিকটা দিয়ে গাড়ি একেবারে যেতে পারে না। এছাড়া এখন আবার বসানো হয়েছে গরুর হাট। ফুটপাতে গরু রাখা হয়েছে মানুষের হাঁটারও জায়গা নেই।
Advertisement
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গিয়ে এ মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশ (ঢাকায় প্রবেশের অংশ) গাড়িতে পূর্ণ। খুবই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে গাড়ি। আবার কখনো স্থবির হয়ে পড়ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এ অংশ।
অন্যদিকে এ মহাসড়কের দু-পাশেই বসেছে গরুর হাট। উত্তর পাশে যে সার্ভিস লেন ছিল সেটি গরুর হাটের কারণে এখন বন্ধ।
এ এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, হাটের ইজারাদার নিয়ম ভেঙে মহাসড়কের দুপাশ ছাড়াও রায়েরবাগ, কাজলা, শনিরআখড়ার অনেক জায়গায় হাট বিস্তৃত করেছে। এতে এসব এলাকায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে।
আরএমএম/এমআইএইচএস/জেআইএম