জাতীয়

ক্রেতা মিলছে না বড় গরুর, ব্যাপারীদের মাথায় হাত

কুষ্টিয়ার মিরপুরের রফিকুল ইসলম। নিজের হাতে লালন-পালন করে তিনটি বড় গরু দুই দিন আগে গাবতলী পশুর হাটে তুলেছেন। ২৫ থেকে ৩০ মণ মাংস মিলবে এমন গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৮ লাখ টাকা করে। কিন্তু কেউ দাম বলছে না। বড় অঙ্কের টাকা খরচ করে গরু হাটে তুলে বড় চিন্তায় পড়েছেন রফিকুল ইসলাম।

Advertisement

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বড় গরু লিছে না কো! কেউ দামই বলে না। ৯ ট্যাকার মাল ৬ ট্যাকা বোলে, কসাইয়ের দামও বোলে না।’

রোববার (২৫ জুন) গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় গরুর ক্রেতা মিলছে না। গাবতলী পশুর হাটের প্রবেশপথেই বড় গরু নিয়ে ক্রেতার আশায় ব্যাপারীরা। কিন্তু ক্রেতা নেই।

আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রতি বর্গফুট চামড়ার সর্বোচ্চ দাম ৫৫ টাকা, বাইরে ৪৮

Advertisement

কেরানীগঞ্জ থেকে চারটি বড় গরু হাটে তুলেছেন আওলাদ হোসেন। ১৮ থেকে ৩০ মণ মাংস মিলবে এমন গরুর দাম ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকা চাইলেও ক্রেতা মিলছে না। কেউ দামই বলছে না।

আওলাদ হোসেন বলেন, বড় গরু হাটে তুলে বড় পাপ করেছি। কেউ দামই বলে না। মানুষের পকেটে মনে হয় টাকা নাই।

কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র ৩ দিন। শেষ মুহূর্তে হাটে ক্রেতা বেড়েছে। তবে কেনাকাটায় থেকে দেখার লোক বেশি স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে। তবে বেচাকেনা জমবে শেষ দুই দিনে।

বাগেরহাট চিতলমারী থেকে গাবতলী হাটে উঠেছে ‘নবাব’। বাগেরহাটের রঞ্জন ব্যাপারী গরুটি হাটে তুলেছেন। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ৩০ মণ। কালো আর সাদা রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির নাম বিক্রির জন্যই কেবল দেওয়া হয়েছে চিতলমারির নবাব।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঢাকার সড়কে পশুর হাট, যাতায়াত-দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নবাব খুব শান্ত স্বভাবের গরু। ওর কোনও রাগ নেই। কারও দিকে তেড়েও যায় না।

রঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ৩০ মণ ওজন হবে আমার নবাবের। আড়াই বছর নিজের হাতে লালন-পালন করে বড় করেছি। ছোট থেকে লালন-পালন করেছি। দাম চাই ১৪ লাখ টাকা। কিন্তু দাম উঠছে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। বড় গরুর ক্রেতা নেই। একজন এই দাম বলে চলে গেছে।

এমওএস/এমএইচআর