আরামদায়ক, ব্যয় সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, আধুনিক, টেকসই এবং নিরাপদ নগর পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে গাজীপুর-টঙ্গী-উত্তরা-বিমানবন্দর করিডোরে ২০ কিলোমিটার বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) লাইন নির্মাণের কাজ।
Advertisement
এ রুটে চলাচলের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কেনা হবে ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস। এসব গাড়ি কখনো মাটি ঘেঁষে আবারও কখনো এলিভেটেড সড়কে চলাচল করবে। এ র্যাপিড ট্রানজিট চালু হলে দুর্ভোগের ঢাকা-গাজীপুর সড়ক মাত্র ৪০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে। আর এ রুটে বাস মিলবে দেড় থেকে তিন মিনিট পরপর।
চলমান এ প্রকল্পসহ তিনটি প্রকল্পে মোট ৩০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে ফ্রান্স। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রান্সের মধ্যে ঋণ চুক্তিসই হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৬২ মিলিয়ন ইউরো; ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন স্যুয়ারেজ প্রজেক্ট ফর নর্থ ক্যাচমেন্ট’ প্রকল্পে ১৭৫ ইউরো এবং ‘বাংলাদেশ ইনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পে মিলিয়ন ইউরো অর্থাৎ মোট ২৭৭ (দুইশো সাতাত্তর) মিলিয়ন ইউরো সমপরিমাণ ৩০৩ (তিনশত তিন মিলিয়ন) মার্কিন ডলার ঋণচুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং ফরাসি সরকারের অর্থায়নকারী সংস্থা এজেন্সি ফ্রান্সিস ডি ডেভলপমেন্টের (এএফডি) পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনিওইট ক্যাসেট ঋণচুক্তিতে সই করেন।
প্রকল্প তিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো- গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার বাস র্যাপিড ট্রানজিট অবকাঠামো নির্মাণ করে দ্রুত নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট এলাকার জন্য পয়োনিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণ; এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় একটি জ্বালানি-দক্ষ, স্বল্প কার্বন নির্গমন ও জলবায়ুসহনশীল কাঠামোর জন্য গ্রিন ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ডের জন্য বিনিয়োগ সুবিধা সম্প্রসারণ করা।
Advertisement
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে এএফডি কার্যক্রম শুরু করে। এটি হলো একটি দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা, যা ফরাসি সরকারের পক্ষে উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। নগর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, সবুজ শক্তি, করপোরেট এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহে সংস্থাটি আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
আলোচ্য প্রকল্পসমূহ ভৌত ও অবকাঠামোগত খাতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এর বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। এ পর্যন্ত সংস্থাটি বাংলাদেশে ২ হাজার ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কারিগরি সহায়তা ও ঋণ প্রদান করেছে। যার মধ্যে জুন ২০২২ পর্যন্ত ১ হাজার ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ ছাড় সম্পন্ন হয়েছে।
এমওএস/এমকেআর/জিকেএস