গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এতে তিন ঘণ্টা পর সন্ধা পৌনে ৭টার দিকে মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এ ঘটনায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
Advertisement
এর আগে শনিবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার এম এস এ স্পিনিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নেন।
এতে মহাসড়কের উভয়দিকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিল্প পুলিশ ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ-শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন। পরে জলকামান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং মহাসড়কে যানচলাচল শুরু হয়।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, গত ৩১ মে তাদের সহকর্মী আমিন খান (৩৫) নিখোঁজ হন। এতে তারা সন্ধান চেয়ে আন্দোলন করলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আর কারখানা খোলেনি। পাঁচ-ছয় হাজার শ্রমিক সেখানে কাজ করেন। সামনে ঈদ, অথচ তারা গত দুই মাসের বেতনসহ ঈদের বোনাস পাচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষ বলেছিল কারখানা বন্ধ থাকলেও বেতন দেওয়া হবে কিন্তু এখন তারা দিচ্ছে না। এজন্য তারা আন্দোলন করছেন কিন্তু পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
Advertisement
তবে পুলিশ বলছে, ওই কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ ধরে বন্ধ রয়েছে। শনিবার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে জনভোগান্তি তৈরি হয়। প্রথমে শ্রমিকদের বোঝাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। যানবাহন ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর ইন্সপেক্টর (কালিয়াকৈর) নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে প্রথমে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এমআরআর/জেআইএম
Advertisement