নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এআই টেকনিশিয়ান খলিলুর রহমান। কোরবানির ঈদকে ঘিরে ফ্রিজিয়ান জাতের বিশাল দেহের একটি গরু লালন-পালন করেছেন তিনি। শখ করে নাম রেখেছেন ‘বেলাবোর ডিপজল’।
Advertisement
সাড়ে ৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের ষাঁড়টি এখন এলাকার একমাত্র আকর্ষণীয় গরু। এর ওজন প্রায় ৯০০ কেজি (২২ মণ)। এবার ঈদে ছয় লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে চান খামারি।
সাদা-কালো রঙের গরুটি লালন-পালন করছেন পরিবারের সদস্যসহ একজন রাখাল। প্রতিদিন তিনবেলা গোসল করানোর পাশাপাশি গরুটিকে খাওয়ানো হয় সবুজ ঘাস, গম, ভুসি, ভুট্টাসহ বিভিন্ন দানাদার খাবার।
খামারি খলিলুর রহমান জানান, গরুটি লালন-পালনে প্রথমে তার ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হলেও বর্তমানে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। গত দুই বছরে তিনি তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন গরুটির পেছনে। এবার কোরবানি ঈদে ছয় লাখ টাকায় তিনি গরুটি বিক্রি করতে চান। এরই মধ্যে চার লাখ টাকা দাম উঠেছে।
Advertisement
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নারগিস খানম জানান, ঈদকে ঘিরে নরসিংদীতে ৭ হাজার ৮৮৭ খামারি ৮৭ হাজার ৮৮৮টি গবাদিপশু মোটাতাজা করেছেন। জেলায় এবছর কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৭৫ হাজার গবাদিপশু। সে হিসেবে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু লালন-পালন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
সঞ্জিত সাহা/এসআর/জেআইএম