আন্তর্জাতিক

সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপ-ন্যাটো

রাশিয়ায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে তাদেরই ভাড়াটে সৈন্যবাহিনী ওয়াগনার। এতদিন পুতিনের পক্ষে কাজ করে আসা এই গ্রুপটি এখন হঠাৎ করেই রুশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে ন্যাটো ও ইউরোপীয় নেতারা। শনিবার (২৪ জুন) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ও সামরিক জোটটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

ইইউয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি সিএনএনকে বলেন, আমরা সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি ও মস্কোতে আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্থায়ী যোগাযোগ করছি। আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও অভ্যন্তরীণ পরামর্শ অব্যাহত রাখছি। বিষয়টি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যা।

অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারাও জানিয়েছেন, তারা ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়াকে নিবিড়ভাবে অনুসরণ করছেন বলে জানিয়েছে এলিসি প্যালেস (ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন)। তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করার দিকেই মনোনিবেশ করছে।

এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমি আমাদের জনগণকে রাশিয়ার কোনো অংশে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানাচ্ছি। আশা করি, আমরা সরাসরি কোনো হুমকির সম্মুখীন হবো না।

Advertisement

একইভাবে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজে ডুদা বলেছেন, রাশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সকালে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের পূর্ব সীমান্তের কাছাকাছি যেসব ঘটনা ঘটে সেগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এদিকে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার সকালে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বেলারুশের সরকারি বার্তা সংস্থা বেল্টা। রাশিয়া-ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে সীমানা ভাগ করা বেলারুশ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় পুতিনের প্রধান মিত্র হিসেবে কাজ করে আসছে।

সূত্র: সিএনএন

এসএএইচ

Advertisement