আন্তর্জাতিক

রোস্তভ শহর দখলের দাবি ওয়াগনার গ্রুপের

ইউক্রেন-রাশিয়ার দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধ হঠাৎ করে ভিন্ন পথে ঘুরে গেছে। এতদিন রাশিয়াকে সমর্থন করা ওয়াগনার গ্রুপ হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে। রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে তারা। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিপক্ষে লড়াইয়ে রুশ সেনাদের সমর্থনের বদলে এবার রুশ বাহিনীর ওপরই হামলা করছে তারা।

Advertisement

এর মধ্যেই রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সামরিক সদরে দপ্তরে ওয়াগনার প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনকে দেখা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন এলাকার সামরিক দপ্তরে প্রবেশ করেছেন তিনি। এমনকি গ্রুপটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওই শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। সেখানকার লোকজনকে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৫ হাজার সৈন্য মরতে প্রস্তুত, হুমকি ওয়াগনার প্রধানের

একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু এবং জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ তাদের সঙ্গে দেখা করতে না এলে তার সৈন্যরা শহর অবরোধ করবে এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হবে।

Advertisement

এদিকে রাশিয়ার এই ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ইভজেনি প্রিগোজিন সশস্ত্র বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছেন এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন।

প্রিগোজিন এর আগে ঘোষণা দেন, তিনি যে কোনও মূল্যে রুশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পতন ঘটাবেন। এর মধ্যেই তিনি রুশ হেলিকপ্টার ধ্বংসের দাবি করেছেন। রাশিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের পরিস্থিতি খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ওয়াগনার গ্রুপ রোস্তভ-অন-ডনের গুরুত্বপূর্ণ সব সাইট দখল করেছে বলে দাবি করেছেন প্রিগোজিন।

এদিকে ভরোনেজ অঞ্চলের গভর্নর সাধারণ লোকজনকে মহাসড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ করেছেন। কারণ ওই পথ দিয়েই রাশিয়ার মিলিটারি কনভয় আসছে। টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া আছে।

অপরদিকে যারা রাশিয়াকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে তাদের শাস্তি পেতে হবে বলে সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি অনিবার্য শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজধানী মস্কো এবং অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলে এখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রুশ সেনা সদর দপ্তরে ওয়াগনার প্রধান

পুতিন বলেন, রাশিয়ার ভবিষ্যৎ এখন হুমকির ‍মুখে। বিদ্রোহীদের কার্যকলাপকে তিনি পিঠে ছুরিকাঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনের নাম উল্লেখ না করে বলেন, কারও কারও উচ্চাকাঙ্ক্ষা ‘তীব্র রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ দিকে যাচ্ছে। ওয়াগনার যোদ্ধাদের কথা উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, কিছু রাশিয়ানকে কৌশলে অপরাধমূলক দুঃসাহসিক কাজের দিকে ধাবিত করা হচ্ছে।

টিটিএন