‘জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাহলে ওই মাসে বা একই সময়ে কি বিপিএল হবে?’ এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু আছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক আজ শনিবার দুপুরে দিলেন এ কৌতুহলী প্রশ্নের জবাব।
Advertisement
বিপিএলের সম্ভাব্য সূচি নিয়ে অনেক কথার ভিড়ে মল্লিক জানিয়ে দিলেন, ‘যদিও নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে এই বছর জাতীয় নির্বাচন আছে। বিপিএল কবে শুরু করতে পারি সেই আলোচনা আমাদের একটি বোর্ড মিটিংয়ে হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করবো। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে শোনা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ জানুয়ারি বা তার আগে পরে একটা গ্রহণযোগ্য তারিখ দেখে বিপিএল শুরু করবো।’
মল্লিক আরও জানান, যেহেতু এরপর শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ আছে, তাই বিপিএল জানুয়ারিতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে।
জানুয়ারির প্রথম বা মাঝামাঝি বিপিএল শুরু হলেও প্লেয়ার্স ড্রাফটটা সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে শেষ করে ফেলতে আগ্রহী গভর্নিং কাউন্সিল। মল্লিকের ভাষায়, যাতে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল গোছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়।
Advertisement
মল্লিক আরও জানান, ‘বিপিএলে দেশের প্রায় সব নিরাপত্তা বাহিনী, সিকিউরিটি এজেন্সি ইনভলব থাকে। একটা আন্তর্জাতিক সিরিজে যেরকম ব্যবস্থা বিপিএলেও তাই। আমরা উনাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সময়টা ঠিক করছি।’
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ও পরশু সম্ভাব্য ফ্রাঞ্চাইজিদের কাছে এসব তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ১০ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরু করতে। এর আগেও যদি করার সুযোগ থাকে এবং জাতীয় নির্বাচন যদি আগে হয়ে যায়, তাহলে আগেও করতে পারি। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে বিপিএলের উইন্ডো কম থাকে। জাতীয় দলের খেলাটাকে আমরা সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেই। এর বাইরে এক মাস নেই যেখানে আমরা বিপিএলটা আয়োজন করতে পারি। ভালো হতো নভেম্বর-ডিসেম্বরে করতে পারলে। কিন্তু ওই সময়ে জাতীয় দলের খেলা আছে। তাই ওই স্লটেই আছে।’
এবার কি কোনো নতুন দল বা ফ্র্যাঞ্চাইজি দেখা যাবে? কেউ কি বাদ পড়বে? এ প্রশ্নের জবাবে মল্লিক জানান, ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া আছে। আগের কেউ যদি কন্টিনিউ করতে না চায়, তাহলে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি। আমাদের যদি স্লট বাড়ে তাহলে একটা টিম বাড়াতেও পারি। এরকম আলাপ-আলোচনা হয়েছে।’
‘যারা টুর্নামেন্টের আর্থিক নিয়মনীতি মানবে না, তাদেরকে নিয়ে আমরা পরবর্তী আসরে সামনে এগোবো না। তবে সব ফ্রাঞ্চাইজি এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে। ভালো সাড়া পাচ্ছি’-যোগ করেন মল্লিক।
Advertisement
তার কথায় মিলেছে পরিষ্কার ইঙ্গিত, আগামী বিপিএলে রাজশাহীর দল থাকার সম্ভাবনা আছে। সেটা কিভাবে? দল কমিয়ে, না বাড়িয়ে? মল্লিক জানালেন, ‘রাজশাহীর জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। কেউ যদি দল চালাতে না চায়, তাহলে রাজশাহীর সুযোগ থাকবে। আবার যদি আমরা বিপিএল ৮ দল নিয়ে করি, তাহলেও তাদের সুযোগ হতে পারে।’
গতবার টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে ডিআরএস ছিল না। এবার সরাসরি বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। চার বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে বলে জানান মল্লিক।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য সচিবের শেষ কথায় আছে আরও একটি বড়সড় বার্তা। এবারও তিনটির (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট) বেশি ভেন্যুতে খেলা আয়োজনের সম্ভাবনা খুব কম। নির্বাচনের কারণেই তিনটির বেশি ভেন্যু নিয়ে ভাবছে না বিসিবি।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম