ধর্ম

কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যবহার কীভাবে করবেন?

সামর্থ্যবানদের সবাই কোরবানি করবেন। কিন্তু কোরবানির পর পশুর চামড়া কী করবেন? কীভাবে এর ব্যবহার করবেন। কেননা কোরবানি দাতা ইচ্ছা করলেই চামড়া বিক্রির টাকা নিজের কাজে খরচ করতে পারবেন না। তবে ইচ্ছা করলেই নিজের কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কীভাবে?এ সম্পর্কে ইসলামের বিধানই বা কী?

Advertisement

কোরবানির চামড়ার ব্যবহারকোনো ব্যক্তি যদি কোরবানি দেয় তবে সে তার কোরবানি করা পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারবে। কোরবানিকারী ব্যক্তি ইচ্ছা করলে নিজের কোরবানির চামড়া দাবাগত করে তা ব্যবহার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।

কোরবানির চামড়া ব্যবহার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ তোমরা কোরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে তা বিক্রি করে দিও না।’

কোরবানির চামড়া বিক্রিকোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা যাবে। তবে বিক্রিত অর্থ কোরবানি দাতা নিজ কাজে খরচ করতে পারবে না। আর তা নিজের কাজে খরচ করা জায়েজও নেই। এ অর্থ গরিব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করে দিতে হবে।

Advertisement

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি যেন কোরবানির মজুরি বাবদ গোশত বা চামড়া থেকে কসাইকে কোনো কিছু প্রদান না করি।’

চামড়া বিক্রির অর্থ কারা পাবেযারা জাকাত, ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত তারাই কোরবানির চামড়ার অর্থ পাওয়ার হকদার। তবে এক্ষেত্রে এতিম, গরিব তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকেঅগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা দেওয়া যাবে। তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী যদি এতিম বা গরিব হয় তবে তাকে জাকাত, ফিতরা ও কোরবানির চামড়ার মূল্য দানে অধিক সওয়াব রয়েছে।

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, কোরবানির পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করা উত্তম। তবে তা বিক্রি করলে তার মূল্য নিজের কাজে লাগাতে পারবে না। এমনকি চামড়া বা গোশত দ্বারা কসাই’র মজুরিও দেওয়া যাবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব কোরবানিদাতাকে চামড়ার ব্যবহারের বিষয়ে যথাযথ পন্থা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। আর তা বিক্রি করলে তার মূল্য বা অর্থ ইয়াতিম, গরিব, মিসকিন ও ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/এমএস