দেশজুড়ে

সাড়ে ৬ লাখে বিক্রি হবে ২২ মণের ‘জমিদার’

হৃষ্টপুষ্ট কালো রঙের গরুটি মানুষের ভিড় দেখলেই শুরু করে পাগলামি। প্রায় তিন বছর ধরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার খোপাতি গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল মাস্টারের খামারে জন্ম থেকে বেড়ে উঠেছে শাহিওয়াল জাতের গরুটি। খাওয়া-দাওয়া, স্বভাব আর চলন-বলনের কারণে আদর করে তার নাম রাখা হয়েছে ‘জমিদার’। প্রতিদিন ৩ কেজি খুদের ভাত, ৪ কেজি ভুসি, ৪ কেজি ধানের গুঁড়া এবং কলাসহ ১৯-২০ কেজি নেপিয়ার ঘাস খায় ‘জমিদার’। এসবের পাশাপাশি লতাপাতাও তার বেশ পছন্দ। জমিদারের ওজন এখন ৯০০ (২২ মণ) কেজি।

Advertisement

স্থানীয়রা বলছেন, পুরো গ্রামে জমিদারের মতো আরেকটা গরু নেই। জমিদারই তাদের কাছে সেরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ জমিদারকে এক নজর দেখার জন্য আসছেন।

খামারি আশরাফুল মাস্টারের দাবি, গ্রামে অনেক খামারের মধ্যে তার পোষা গরু ‘জমিদার’ সেরা। আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে জমিদারকে বিক্রির করতে প্রস্তুত তিনি। এজন্য গরুটির হাঁকছেন সাত লাখ টাকা। ৮ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফিট উচ্চতার জমিদারের দুটি দাঁত রয়েছে।

এখন পর্যন্ত গরুটির সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দাম উঠেছে। সবশেষ সাড়ে ছয় লাখ টাকা দাম পেলে গরুটি বিক্রি করে দেবেন আশরাফুল মাস্টার। খামার থেকে বিক্রি না হলে হাটে তোলা হবে জমিদারকে।

Advertisement

কাউনিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিঞ্চিতা রহমান বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে অনলাইন হাটের মাধ্যমে কৃষক ও খামারিদের পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খামারিদের এজন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রায় ১৪ লাখ পশু প্রস্তুত করেছেন খামারি ও গৃহস্থরা। ভালো দামের আশায় কোরবানির বাজার ধরার জন্য এসব পশু যত্ন সহকারে লালন-পালন করছেন তারা। ভারত থেকে গরু না এলেও এ অঞ্চলের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত পশু অন্য এলাকায় সরবরাহ করা যাবে।

রংপুর প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে এ বিভাগের আট জেলায় দেড় লাখের বেশি খামারি প্রায় পাঁচ লাখ গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এছাড়া দুই লাখ গৃহস্থ প্রায় ৯ লাখ গরু ও খাসি বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩৩ হাজার খামারে দুই লাখের ওপর গরু রয়েছে।

গতবছর কোরবানি উপলক্ষে ১৩ লাখ গরু-খাসি প্রস্তুত থাকলেও চাহিদা মিটিয়ে আড়াই লাখের বেশি পশু উদ্বৃত্ত ছিল। এবার ১৩ লাখ ৭০ হাজার গরু-খাসি কোরবানির উপযুক্ত রয়েছে। এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়েও প্রায় তিন লাখের মতো পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

Advertisement

জিতু কবীর/এসআর/এমএস