ধর্ম

নবিজির (সা.) মক্কায় প্রবেশ ও কাবা ঘর দেখে দোয়া

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজের সময় জিলহজ মাসের ৫ তারিখ আবারে জাহের নামে পরিচিত ‌‌‌‘যু-তুয়া’ নামক স্থানে ফজর নামাজ পড়লেন। এরপর সেখান থেকে গোসল করে পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তিনি পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং দোয়া পড়লেন। কী দোয়া পড়েছিলেন তিনি?

Advertisement

পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশ

পবিত্র নগরী মক্কার উঁচু স্থান জাহুনের কাছাকাছি অবস্থিত ‘ছানিয়াতুল ইয়া’র দিক থেকে তিনি দিনের বেলায় পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশ করেন। আর ওমরাহ করার সময় তিনি মক্কার নিচু ভূমি দিয়ে প্রবেশ করতেন। এরপর তিনি চাশতের (নামাজের) সময় মসজিদে হারাম (বাইতুল্লায়) ঢুকলেন।

ইমাম তাবারির বর্ণনায় এসেছে, বাবে বনি আবদে মানাফ তথা আবদে মানাফের গেট দিয়ে তিনি মসজিদে হারামে (বাইতুল্লাহ) প্রবেশ করেন, যাকে বাবে বনি শায়বাও বলা হয়।

Advertisement

বাইতুল্লায় প্রবেশে দোয়া

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তিনি (নবিজি সা.) যখন দ্বারে ইয়ালার কোনো স্থান দিয়ে বাইতুল্লায় প্রবেশ করতেন তখন আল্লাহর ঘরকে সামনে রেখে দোয়া করতেন।

ইমাম তাবারি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তিনি (নবিজি সা.) যখন কাবা ঘরের দিকে তাকাতেন তখন এই দোয়া পড়তেন-

اَللَّهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ تَكْرِيْماً وَ مَهَاَبَةً

Advertisement

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা যিদ হাজাল বাইতা শারিফান ওয়া তা’জিমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মুহাবাতান।’

অর্থ: হে আল্লাহ্ তুমি এই ঘরের সম্মান, মর্যাদা ও প্রভাব আরও বৃদ্ধি কর।’ (বাইহাকি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে-

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা ঘর দেখার সময় উভয় হাত উঠাতেন, তাকবির বলতেন এবং এই দোয়া পাঠ করতেন-

اَللَّهُمَّ أَنْتَ السّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ حَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ اَللَّهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ تَكْرِيْماً وَ مَهَاَبَةً وَ زِدْ مَنْ شَرّفَهُ وَ كَرّمَهُ مِمَّنْ حَجَّهُ وَاعْتَمَرَهُ  تَشْرِيْفاً وَ تَعْظِيْماً وَ بِرُّا

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস্‌সালাম। আল্লাহুম্মা যিদ হাজাল বাইতা তাশরিফান ওয়া তা’জিমান ওয়া তাকরিমান ওয়া মুহাবাতান; ওয়া জিদ মান শার্‌রাফাহু ওয়া কার্‌রামাহু মিম্মান হাজ্জাহু ওয়া’তামারাহু তাশরিফান ওয়া তাকরিমান ওয়া তা’জিমান ওয়া বির্‌রা।

অর্থ: হে আল্লাহ্! তুমি শান্তির আধার, তোমার থেকেই শান্তি আসে। হে আমাদের প্রভু! তুমি আমাদেরকে শান্তির সাথে জীবিত রাখো। হে আল্লাহ্! তুমি এই ঘরের সম্মান, মর্যাদা ও প্রভাব আরও বৃদ্ধি কর। আর যে ব্যক্তি এই ঘরের হজ্জ বা উমরাহ করবে, তুমি তারও সম্মান, মর্যাদা ও নেকি বৃদ্ধি কর।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল হাজিকে মাসনুন তরিকায় পবিত্র নগরী বাইতুল্লাহ প্রবেশ এবং বাইতুল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম