পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মেহেরপুরে এক লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ১১২টি পশুর। উদ্বৃত্ত এক লাখ ৪০৮টি পশু বিক্রি হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরই মধ্যে জমে উঠেছে জেলার পশুহাটগুলো।
Advertisement
এবার জেলায় নজর কেড়েছে ‘রাজাবাবু’ নামের একটি গরু। জেলার মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের খামারি ইনসান আলী গরুটি লালন-পালন করেছেন। ৬০ মণের রাজাবাবুর দাম হাঁকছেন ৩৫ লাখ টাকা।
গত কোরবানির ঈদে গরুটার দাম ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন ক্রেতারা। কিন্তু গরুর মালিক ‘রাজাবাবু’কে দেশসেরা পশুর তালিকায় দেখার আশায় ওই দামে বিক্রি করেননি।
ইনসান আলী জানান, চার বছর আগে মাত্র ৮৫ হাজার টাকায় রাজাবাবুকে ক্রয় করেন। এরপর থেকেই পরম যত্নে লালন-পালন করে বড় করেছেন। এখন রাজাবাবুর ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ মণের ওপরে। উচ্চতা ৮ ফুট। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টির পেছনে প্রতিদিন খরচ হাজার টাকা। প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করছেন গরুটি দেখতে। ৩৫ লাখ টাকা দাম পেলে এটি বিক্রি করে দেবো।
Advertisement
অন্যদিকে মুজিবনগর উপজেলার বল্ববপুর গ্রামের খামারি সাহাবুদ্দিন জানান, কোরবানি উপলক্ষে এ বছর ১৩টি গরু লালন-পালন করছেন। একটি বড় আকারের গরু আছে, যার ওজন প্রায় ১৬০০ (৪০ মণ) কেজি। দাম হাঁকছেন ১৪ লাখ টাকা। পাশাপাশি দেড় থেকে পাঁচ লাখ টাকার গরু আছে তার খামারে।
রতনপুর গ্রামের খামারি মাইকেল টুইস মণ্ডল জানান, গতবছর তার খামারে ৩০টি গরু ছিল। গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে এ বছর আটটি গরু লালন-পালন করেছেন।
খামারি লিটন হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তিনি বিভিন্ন সাইজের ১৩টি গরু প্রস্তুত করেছেন। এগুলোর দামও ভিন্ন। গরুগুলোর উপযুক্ত দাম আশা করছেন তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৫২০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। এর মধ্য গরু প্রায় ৫০ হাজার এবং ছাগলের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৯টি।
Advertisement
তিনি আরও জানান, জেলায় ৯০ হাজার ১১২টি পশুর চাহিদা রয়েছে। উদ্বৃত্ত এক লাখ ৪০৮টি পশু বিক্রি হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে এগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে।
আসিফ ইকবাল/এসআর/জেআইএম