ফিচার

সেই হাঁক-ডাক নেই কটকটি বিক্রেতাদের

কটকটি। নব্বই দশকের খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। পাড়া বা মহল্লায় বিকেলের আড্ডা, খেলাধুলার ফাঁকে হাঁক-ডাক দিত কটকটি বিক্রেতা।‘এই কটকটি, এই কটকটি’ বলতে বলতে পাড়া বা মহল্লার রাস্তায় চলতো বিক্রেতা। যা শুনেই ছোট বাচ্চারা সবাই জড়ো হতো কটকটি বিক্রেতার সামনে।

Advertisement

পুরোনো প্লাস্টিক, মেয়েদের মাথার চুল, কাচের বোতল কিংবা এক-দুই টাকা দিলেই মিলতো মজাদার এই মুখরোচক খাবার। ছোটদের পছন্দের খাবার ছিল বলে মা-বাবারাও কিনে দিতেন সন্তানদের।

চ্যাপ্টা গোলাকৃতির বড় একটি টিনের পাত্রে কটকটি ফেরি করে বিক্রি করতেন হকাররা। এখন বিকেল হলে দেখা মেলে না কটকটি বিক্রেতাদের। শোনা যায় না কটকটি বিক্রেতাদের সেই হাঁক।

নব্বই দশকে যারা শৈশব পার করেছেন তাদের অন্যতম এক মধুর স্মৃতি এই কটকটি। তবে রাস্তা, ঘাটে না মিললেও বাড়িতে বানানো যায় এই কটকটি। কটকটি বানাতে চাই কয়েকটি উপকরণ। আধা কাপ চিনি, বেকিং সোডা আধা চা-চামচ, ৩ টেবিল চামচ পানি। এরপর চিনি ও পানি মিশিয়ে চুলায় বসান। চিনি গলে ক্যারামেল হলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। চিনির রং গাঢ় হয়ে আসলে ক্যারামেল থেকে এক ফোঁটা পানিতে ফেলে দেখুন জমাট বাঁধে কি না। জমাট বাঁধলে বুঝতে হবে ক্যারামেল তৈরি। তবে ক্যারামেল যেন বেশি কড়া না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। নাহলে কটকটি তেতো হয়ে যাবে। এবার একটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে তেল ব্রাশ করে নিন। ক্যারামেল চুলা থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই থালায় ঢেলে দিন। ঘণ্টা দুয়েক পর গরম কটকটি জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে যাবে। এরপর কটকটি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাওয়াই মিঠাইয়ের একাল-সেকাল

বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই কটকটির নাম শোনেনি। কোল্ড কফি, সাব-স্যান্ডউইচ, চিকেন বারবিকিউ বার্গার, গ্রিল ইত্যাদি খাবারই তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত। তারা জানে না কটকটির স্বাদ কেমন বা দেখতে কেমন।

আগে শহরাঞ্চলে হরহামেশে কটকটির দেখা পাওয়া গেলেও এখন কিছু গ্রাম-গঞ্জ ছাড়া কটকটির দেখা পাওয়া মুশকিল। বড়দের কাছে কটকটি খাবারটি একটি ভালোবাসার নাম। শৈশবের সেই কটকটির স্বাদের কথা মনে পড়লেই যেন জিভে জল চলে আসে। তবে কোথায় খুঁজে পাই সেই স্বাদের কটকটি!

কেএসকে/এএসএম

Advertisement