দেশজুড়ে

দুই সিটিতেই নৌকার জয়

সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সিলেটে নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে লিটন টানা দ্বিতীয়বার ও এবার দিয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন।

Advertisement

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক। অন্যদিকে খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ১৯০ ভোট ভোট।

ভোট গণনা শেষে বুধবার (২১ জুন) রাতে দুই সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: সিলেটের নতুন নগরপিতা আনোয়ারুজ্জামান

Advertisement

ফলাফলে দেখা যায়, সিলেট সিটি নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নিকটতম প্রার্থী লাঙল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল ৫০ হাজার ১৬১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র শাহজাহান মিয়া (বাস) ২৯ হাজার ৬৮৮ এবং হাতপাখা প্রতীকের মাহমুদুল হাসান ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়েছেন।

অন্যদিকে রাজশাহীতে লাঙল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন ১০ হাজার ২৭২, হাতপাখার মুরশিদ আলম ১৩ হাজার ৪৮৪ এবং গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী লতিফ আনোয়ার ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলে ভোটগ্রহণ।

সিলেট সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফের রাজশাহী সিটির মেয়র নির্বাচিত লিটন

নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র আব্দুল হানিফ, ছালাহ উদ্দিন রিমন, শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

আরও পড়ুন: বর্জনের পরও রাজশাহী সিটি নির্বাচনে দ্বিতীয় হাতপাখা

অন্যদিকে রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এসআর/জিকেএস