টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি সাকিব আল হাসান। বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে রেকর্ড গড়ার অনন্য এক সুযোগ ছিল তার সামনে। কারণ ম্যাচটি ছিল তার টি-টোয়েন্টির ৫০ তম। এ ম্যাচে মাত্র ২১ রান করলেই হাজারি ক্লাবে নিজের নামটি লেখাতে পারতেন তিনি। তবে ভাগ্য যেন সহায় ছিল না তার।ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের জন্য বিপদ সংকেত হতে না পরলেও বল হাতে নিজের স্বকীয়তা দেখিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ওমানের বিপক্ষে ১৫ রানে ৪ উইকেট শিকারে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি।বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইনের সাথে যৌথ ভাবে ৫৭ টি উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এর ৭ম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ছিলেন তিনি। তাইতো মাত্র এক উইকেট পেলেই স্টেইনকে পেছনে ফেলে একক ভাবে ৭ম উইকেট শিকারি বোলার হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিলো তার সামনে। সেই সুযোগটি বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি।খেলার ৮.২ ওভারে আমির কালিমকে আউট করে হয়ে যান টি টুয়েন্টির ৭ম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।তবে সেখানেই থেমে যাননি এই বাহাতি স্পিনার। ম্যাচ শেষে উইকেটের ঝুলিটা হয় আরো সমৃদ্ধ। ৫৭ উইকেটে থাকা সাকিব আরো ৪ উইকেট শিকার করে এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬১ উইকেটের মালিক।ক্রিকইনফোর`র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৯৪ ম্যাচে ৯৩ টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি। ৬০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানি বোলার উমর গুল। তার উইকেট ৮৫ টি। গুলের চেয়ে চার ম্যাচ বেশি খেলে সমানসংখ্যক উইকেট শিকার করে পাকিস্তানের স্পিনার সাঈদ আজমল রয়েছেন ৩ নম্বরে।এদিকে ওমানের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে আরেকটি রেকর্ড গড়েছে সাকিব। চতুর্থ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তিনবার ৪ উইকেট নিয়ে বোলিং ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।আরএ/এমআর/আরআইপি
Advertisement