ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গাসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ জুন) ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৩টি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও ৩টি পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ উদ্ধার করা হয়। চক্রটির প্রধান হাবিব উল্লাহ ওরফে আবু হোজাইফা ওরফে আবু বক্কর।
গ্রেফতাররা হলেন- চক্রের প্রধান হাবিব উল্লাহ ওরফে আবু হোজাইফা ওরফে আবু বক্কর (৪৯), মঞ্জু মোর্শেদ (২৯), সাফায়েত আহমেদ সাহিদ (৩২), সামিউল হক ওরফে রাজু, নুর আলম (২৭), আবেদ হোসেন (২৭) ও রোহিঙ্গা নাগরিক রিয়াজুল হক ওরফে রিয়াজ (১৯)।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, সম্প্রতি আশুলিয়া থানায় এক নারীর পাসপোর্ট আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করতে মাঠে নামে ঢাকা জেলা পুলিশের এসবি শাখা। পরে দেখা যায়, পাসপোর্টের আবেদনের ঠিকানায় ওই নামে কোনো নারী থাকেন না। কিন্তু তার হয়ে আবেদ নামের এক ব্যক্তি কাগজপত্র জমা দেন। বিষয়টি সন্দেহ হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হলে তিনি স্বীকার করেন, রাজু নামে এক ব্যক্তির হয়ে তিনি এ কাজ করছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আবেদ পুলিশকে জানান, পাসপোর্টের আবেদনকারী ফাতেমা নামের নারীর তিনি কেউ হন না। মূলত রাজুর নির্দেশে তিনি কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন। কিন্তু সেই আবেদকে ছাড়িয়ে নিতে রাজু তার সহযোগী নুর আলমকে পাঠান। এসময় নুর আলমকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের সদস্য বলে তারা স্বীকার করেন।
চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জালিয়াতি করে পাসপোর্ট দিয়ে আসছিল। সবশেষে চক্রটির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানআরও বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গার ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে দিচ্ছিল, যা ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয়ে বিদেশে গমন করছেন।
Advertisement
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মামরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
টিটি/ইএ/এমএস