পশ্চিমবঙ্গে কিছু এলাকায় বৃষ্টির দেখা মিললেও কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় বর্ষা আসতে এখনো দেরি। বেশ কিছু জেলায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই কাঠফাটা গরমে তাই অনেকেই চাইছেন উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে আসতে।
Advertisement
গরমকাল এলেই মন চলে যায় পাহাড়ের হিমশীতল পরিবেশে। আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পাহাড় মানেই কার্শিয়াং, দার্জিলিং, সিকিম। কিন্তু এই গরমে ওইসব জায়গায় ব্যাপক ভিড়, হোটেল পাওয়া দুষ্কর। তার চেয়ে একটু নির্জনে একদম প্রকৃতির কোলে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে কালিম্পংয়ের ‘লিংসে’।
আরও পড়ুন>> গরম থেকে বাঁচতে দার্জিলিং-কার্শিয়াং ছুটছে মানুষ
প্রচারের আড়ালে থাকা লিংসে হলো ছোট্ট একটি পাহাড়ি গ্রাম। এটিকে সাজাতে কোনো কার্পণ্য করেননি প্রকৃতি। অনেকেই এই গ্রামের সন্ধান পাননি। তাই লিংসেতে জনমানুষের ভিড় এখনো বেশ কম।
Advertisement
সবুজ গাছে ঘেরা চারদিক। পাহাড়ের ঢালে কাঠের বাড়িগুলো দেখলে মনে হবে রঙ-তুলির টানে গ্রামটিকে সাজিয়ে তুলেছেন কোনো দক্ষ চিত্রকার। সবুজ পাহাড়ের মধ্য দিয়ে সাদা মেঘ ঘুরে বেড়ায় এখানে। এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন>> তিন হাজার রুপি থাকলেই ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের যে সৈকতে
লিংসের বাসিন্দারা পাহাড়ের ধাপে ধাপে এলাচের চাষ করেন। হোটেল বা বাড়ির সামনেই দেখা মেলে অপূর্ব অর্কিডের বাগান।
লিংসের হোটেলে বসেই উপভোগ করতে পারবেন রোদ-বৃষ্টি-কুয়াশার লুকোচুরি খেলা। সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগেই কানে ভেসে আসবে নানা প্রজাতির পাখির ডাক। পাহাড়ের কোলে হোটেলগুলোর জানালা খুলে হাত বাড়ালেই ঠান্ডা মেঘের স্পর্শ পরিষ্কার অনুভব করতে পারবেন। সবমিলে আপনার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে কালিম্পংয়ের লিংসে গ্রাম।
Advertisement
আরও পড়ুন>> গরমে রেকর্ড চাহিদা সত্ত্বেও লোডশেডিং নেই পশ্চিমবঙ্গে
সুন্দর ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামটি প্রায় চার হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে গোর্খালি, লেপচা, ভুটিয়া উপজাতি মানুষের দেখা মেলে বেশি। তাদের মিষ্টি স্বভাব আপনাকে এই গ্রামের প্রতি টান আরও বাড়িয়ে দেবে।
লিংসেতে রাত্রিযাপনের জন্য রয়েছে হোম স্টে’র ব্যবস্থা। এর আশপাশে পাহাড়ের কোলঘেঁষে তৈরি হয়েছে কিছু হোটেলও। সেখানে থাকা-খাওয়ার সু-বন্দোবস্ত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৭৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালিম্পং, সেখান থেকে যেতে হবে এই লিংসে গ্ৰামে।
ডিডি/কেএএ/