মাংসের স্বাদ বাড়াতে মসলার জুড়ি মেলা ভার। আর কয়েকদিন পর কোরবানির ঈদ। মুসলমানদের ঘরে ঘরে থাকবে মাংস। তাই আগেই মসলা কিনতে বাজারে ছুটছেন ক্রেতারা।
Advertisement
তবে নওগাঁয় কমছে না মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। আসন্ন কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ এ জাতীয় পণ্যের বাজার। এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। তবে দিন যত যাবে বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নওগাঁ শহরের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা ও ভারতীয় পেয়াজ ৩০ টাকা। গোটা রসুন প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং কোয়া রসুন ১০০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি।
শহরের চকদেবপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। মসলার বাজার অস্থির। পেয়াজ কিনতে চাইছিলাম ১০ কেজি। সেখানে পাঁচ কেজি কিনেছি। সবচেয়ে বেশি দাম আদার। মনে হচ্ছে আদায় আগুন লেগেছে। ৮০ টাকা কেজির আদা এখন ২২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। জিরা ৮৩০-৯০০ টাকা কেজি। দাম বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ পণ্য দরকার তা কিনছে না ক্রেতারা।
Advertisement
আদার পাইকারি ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে দেশি জাতের কোনো আদা নেই। দেশি বলে যা বিক্রি হচ্ছে তা আমদানি করা আদা। পাইকারিতে ২২০-২৩০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হচ্ছে। একমাস আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৬০-১৮০ টাকা।
তিনি বলেন, যেসব আদা আমদানি করা হয়, প্রতিবস্তায় নষ্ট আদা ও মাটি থাকে প্রায় সাত থেকে আট কেজি করে; যা বাদ যাচ্ছে। সেই খরচা ধরে আদা বিক্রি করা হচ্ছে।
এই বিক্রেতা আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে আদার চাহিদা বাড়ছে। গতকাল ৮০ কেজি বিক্রি হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) বিক্রি হয়েছে ১২০ কেজির মতো। চাহিদা বাড়ায় আরও বেশি পরিমাণ বিক্রি হবে।
পাইকারি রসুন ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বলেন, নাটোরের চাঁচপুর, গুরুদাসপুর, আমবাগপুর, নলডাঙা ও পাবনা থেকে রসুন নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ছোট আকারের রসুন প্রতিকেজি ১২০ টাকা, আকারে একটু বড় ১৩০ থেকে ১৪০টাকা এবং কোয়া রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
নওগাঁ কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী বলেন, জেলায় রসুন-পেয়াজ যে পরিমাণ আবাদ হয় তা দিয়ে চাহিদা পূরণ হয় না। এজন্য জেলার বাইরে থেকে আনতে হয়। রসুন ও পেঁয়াজ বিশেষ করে নাটোর ও পাবনা থেকে আনা হয়।
তিনি বলেন, প্রতিদিন এক ট্রাক (৫০ কেজি ওজনের ৩০০ বস্তা) পেঁয়াজ বিক্রি হয়। প্রতিকেজি ৬৮ টাকা হিসেবে কিনে এক টাকা খরচ ও এক টাকা লাভে মোট ৭০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হয়। এছাড়া ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ এক টাকা খরচ ও এক টাকা লাভে মোট ৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ নষ্ট থাকে। তবে দেশি পেঁয়াজ ভালো।
আব্বাস আলী/এমআরআর/এমএস