বিশালাকৃতির ষাঁড়ের নাম ‘সাদা সম্রাট’। ওজন ৩০ মণ। ষাঁড়টি ছয় লাখ টাকায় বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান এর মালিক মাজহারুল ইসলাম। মাজহারুল ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
Advertisement
মাজহারুল ইসলাম একজন খামারি। গরুর খামারের পাশাপাশি তিনি স্থানীয় কোষা গোপালপুর দাখিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন।
‘সাদা সম্রাট’ একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। এটিকে এবারের কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে মাজহারুলের খামারে সাদা সম্রাটসহ মোট পাঁচটি ষাঁড় ছিল। এর মধ্যে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় বিক্রি করেছেন এক লাখ ২০ হাজার টাকায়। অপরটি শাহিওয়াল জাতের। সেটি বিক্রি করেছেন এক লাখ ৫ হাজার টাকায়।
খামারি মাজহারুল ইসলামের দাবি, ফিতা দিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মেপে দেখা গেছে সাদা সম্রাটের ওজন ১ হাজার ২০০ কেজি (৩০ মণ)। এর বয়স চার বছর।
Advertisement
মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত তিন বছর ধরে তিনি গরুটি লালন-পালন করছেন। তবে গরুটি হাট-বাজারে নিতে চান না। ছয় লাখ টাকা দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করবেন।
গায়ে-গতরে বড় হলেও অনেক শান্ত স্বভাবের ‘সাদা সম্রাট’। তাকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনার একজন নিয়োজিত আছেন। খাবার হিসেবে দেওয়া হয় গমের ভুসি, ভুট্টা গুঁড়া, খড় ও কাঁচা ঘাস। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয় সম্রাটের পেছনে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এস আসজাদ বলেন, ফরিদপুরে ফ্রিজিয়ান, নেপালি, শাহিওয়াল ও দেশি জাতের গরু বেশি পালন করা হয়। এবার প্রায় সাত হাজার খামারে প্রায় দেড় লাখ গরু প্রস্তুত রয়েছে কোরবানির ঈদের জন্য। যা জেলার চাহিদার তুলনায় বেশি।
এন কে বি নয়ন/এসআর/এমএস
Advertisement