জিলহজ মাসের ১০ তারিখ কোরবানির নির্ধারিত দিন। এ দিন ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে কোরবানি করা যায়। মুসলিম উম্মাহ এ দিন পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ পড়েন এবং পশু কোরবানি করেন। কিন্তু কোরবানি কি শুধু ১০ জিলহজ সম্পন্ন করতে হবে? নাকি কোরবানির জন্য আরও সময় পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কী?
Advertisement
না, কোরবানি শুধু ১০ জিলহজ একদিনই নয় বরং ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে আরও দুইদিন কোরবানি করা যায়। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করার নির্ধারিত সময়। তবে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর হয়ে গেলে কোরবানি বৈধ হবে।' (আলমগীরি)
কেউ যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় আর ১০ ও ১১ জিলহজ সফরে থাকে। তারপর ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে বাড়ি ফিরে আসে, তবে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব হবে।' (আলমগীরি)
তবে কোরবানি করার সময় প্রসঙ্গে ফিকহের বিখ্যাত গ্রন্থ কুদুরিতে এসেছে, 'ঈদুল আজহার দিন নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। কিন্তু যে স্থানে ঈদের নামাজ বা জুমার নামাজ বৈধ নয় বা ব্যবস্থা নেই, সে স্থানে ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পরও কোরবানি করা বৈধ হবে।' (কুদুরি)
Advertisement
ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানির সময় থাকে ৩ দিন। যারা কোনো কারণে কোরবানি করতে পারেননি, তাদের জন্য ঈদের পরের দুই দিনসহ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোরবানি করার সুযোগ থাকে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশু জবাই করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম
Advertisement