ড. আসিফ নজরুল
Advertisement
গণঅধিকার পরিষদ নূরুল হক নূর, রাশেদ খান, ফারুক হাসান, হাসান মামুনদের ত্যাগ, সংগ্রাম আর সাহসে গড়ে ওঠা সংগঠন। এর উত্থান ও বিকাশে ড. রেজা কিবরিয়ার তেমন কোনো ভূমিকা নেই। তিনি কামাল হোসেনের দল থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়ে অনেকটা নিঃসঙ্গ ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় যে প্রত্যাশা থেকে, যে সম্মান দিয়ে দেশের তরুণ-যুবকদের নতুন প্রত্যাশার দল গণঅধিকার পরিষদে তাকে সর্বোচ্চ পদে আসীন করা হয়েছিল, তিনি তা পূরণ করতে ব্যর্থ হন।
আমি নিজে রেজা কিবরিয়াকে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অনেকক্ষণ অতিথিদের অপেক্ষমাণ রেখে দেরি করে আসতে দেখেছি, দলের সাধারণ কর্মী এমনকি নেতাদের সঙ্গে তার দূরত্ব দেখেছি, কিছু টক-শো ও অনুষ্ঠানে তার অরাজনৈতিক ও ইমম্যাচিউরড কথাবার্তা শুনে হতাশ হয়েছি।
গণঅধিকার পরিষদে তিনি আনফিট ছিলেন। গতকাল নূরের পরিবারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি যে অহমিকা প্রকাশ করেছেন, তা নিচু মনেরও পরিচায়ক। তার জায়গায় রাশেদ খানকে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা সঠিক সিদ্ধান্ত।
Advertisement
রেজা কিবরিয়া, আপনি আত্মমর্যাদাবোধ নিয়ে নিজে নিজে একটা দল গড়ে তুলুন, প্রয়োজনে আপনার মতো বড় বড় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিন। নূর-রাশেদদের রক্তে ঘামে প্রতিষ্ঠিত দল, আখতার আর সিফাতের মতো আমার বহু ছাত্রের আত্মত্যাগে গড়ে ওঠা দল, গণঅধিকার পরিষদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না আশা করি। আমি জানি, কী নির্যাতন, কী নিপীড়ন সহ্য করতে করতে তারা আজকে এই জায়গাটায় এসেছে।
নূররা তাই বলে সমালোচনার। ঊর্ধ্বে নয়। তাদের ভুল-ভ্রান্তি থাকতেই পারে। আশা করবো তারা সেগুলো নিজেরা আলোচনা করে দূর করতে পারবেন। দেশের হাজারো তরুণের স্বপ্নের দল গণঅধিকার পরিষদ। আশা করি, এটি পূরণে যে দায়িত্ববোধ, দক্ষতা আর দেশপ্রেম প্রয়োজন, তা তারা দেখাতে পারবেন।
গণঅধিকার পরিষদের জন্য শুভ কামনা।
(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্ট)
Advertisement
এমএইচআর/জিকেএস