কৃষি ও প্রকৃতি

ভারতীয় মিষ্টি আঙুর চাষে সফল লাভলী

ইউটিউব দেখে ভারতীয় ছমছম জাতের মিষ্টি আঙুর চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামের লাভলী আক্তার। শখের বশে করা আঙুরের বাগান দেখতে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। তার সফলতা দেখে অনেকেই আঙুর বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন।

Advertisement

সরেজমিনে জানা যায়, লাভলী আক্তার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত আব্দুস সালামের স্ত্রী। ইউটিউব দেখেই তিনি ভারতীয় ছমছম জাতের আঙুর বাগান করতে উৎসাহী হন। পরে বাড়ির সামনে দোয়ারিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ১২ শতাংশ জমির ওপর মাচা তৈরি করে আঙুর বাগান করেছেন তিনি। বাগানে ৪৭টি আঙুর গাছ আছে। প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর।

আরও পড়ুন: পিরোজপুরে কলা চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের

লাভলী আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইউটিউব দেখে উৎসাহী হয়ে ২০২২ সালের ২৮ মে সাতক্ষীরা থেকে ভারতীয় ছমছম জাতের ৪৭টি আঙুরের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করি। প্রতিটি চারা গাছের দাম পড়েছে ৫০০ টাকা। এক বছরেই আঙুরে ভরে গেছে মাচা। মাচা তৈরি ও চারা গাছে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। প্রাথমিকভাবে ১২ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করে সফলতা পেয়েছি। আগামীতে বড় পরিসরে চাষ করার চিন্তা আছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘অনেকে বাগান থেকেই ২০০ টাকা কেজি হিসেবে কিনে নিচ্ছেন। যা আছে, তা-ও বাগান থেকেই বিক্রি হয়ে যাবে। এখান থেকে গাছ কাটিংয়ের মাধ্যমে চারা গাছ উৎপাদন করেছি। কেউ চাইলে ৩০০-৩৫০ টাকা করে প্রতি পিস সংগ্রহ করতে পারবেন।’

আরও পড়ুন: হলুদ তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি

বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাগানটির কথা শুনে ভালো লেগেছে। পরে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাসহ পরিদর্শন করেছি। ভালোই ফলন হয়েছে। তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। যারা উৎসাহী হয়ে আঙুর বাগান করবেন, তাদেরও সহযোগিতা করা হবে।’

শাওন খান/এসইউ/জেআইএম

Advertisement