বাংলাদেশের প্রথিতযশা কবি, নারীবাদী ও আধুনিক বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ এই কবি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে।
Advertisement
মহীয়সী এই নারী আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে গেছেন। একই সঙ্গে তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন এবং সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যু হয় কবি সুফিয়া কামালের।
কবির জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা নারী জাগরণের পথিকৃত কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
Advertisement
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ‘সুফিয়া কামাল ও তরুণ প্রজন্ম’ বিষয়ক স্মারক বক্তৃতা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে প্রকাশিত হয়। ত্রিশের দশকে কলকাতায় অবস্থানকালে বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র যেমন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র প্রমুখের দেখা পান তিনি। মুসলিম নারীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলামে’ রোকেয়ার সঙ্গে সুফিয়া কামালের পরিচয় হয়। বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা ও প্রতিজ্ঞা তার মধ্যেও সঞ্চারিত হয়, যা তার জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। দেশভাগের পূর্বে কিছু সময় তিনি নারীদের জন্য প্রকাশিত সাময়িকী বেগমের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিক ছিলেন।
সুফিয়া কামাল ৫০টিরও বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো, সাঁঝের মায়া (১৯৩৮), মায়া কাজল (১৯৫১), মন ও জীবন (১৯৫৭),উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪), মৃত্তিকার ঘ্রাণ (১৯৭০)।
এসএনআর/জেআইএম
Advertisement