স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাহ সাব্বির হাসান। তিন বছর আগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গিয়েছিলেন কোরবানির পশু কিনতে। সেখানে কোরবানির গরুর পাশাপাশি আরেকটি গরু নজর কাড়ে সাব্বিরের। তাই শখের বশে গরুটি কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
Advertisement
আগের মালিক গরুটিকে ‘বাদশাহ’ বলে ডাকতেন। তিনিও গরুটির নাম বাদশাহই রেখে দিলেন। সেই বাদশাহর ওজন এখন ৯৮০ কেজি (২৪ মণ)। চলনে- বলনেও বাদশাহর মতোই। সবার নজর কেড়েছে গরুটি। এবার কোরবানি ঈদে বাদশাহকে বিক্রি করা হবে। এজন্য দাম চাওয়া হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাগানবাড়িতে গুনগুন পার্ক এবং রিসোর্টে সাব্বির হাসান বাদশাহকে লালন-পালন করছেন। এই পার্কটিও তিনি ধীরে ধীরে গড়ে তুলছেন। পার্কের এক কোনায় শেড তৈরি করে সেখানে বাদশাহ ছাড়াও আরও চারটি বড় আকারের গরু পালন করছেন সাব্বির। সেখানে বিদেশি জাতের মুরগি, হাঁস এবং একটি ঘোড়াও পালন করছেন তিনি।
ব্রাহমা ও শাহিওয়ালের ক্রস ব্রিড জাতের গরু ‘বাদশাহ’। সে অনেক শান্ত স্বভাবের। শিং বা গলায় জড়িয়ে ধরলেও কিছু করে না। ‘বাদশাহ’ বলে ডাকলে সাড়া দেয়।
Advertisement
সাব্বির হাসান বলেন, বাদশাহকে যখন হাট থেকে নিয়ে আসি তখন এর ওজন ছিল ৬২০ কেজি। এখন তার ওজন দাঁড়িয়েছে ৯৮০ কেজিতে। বাদশাহকে প্রতিদিন দানাদার খাবারের পাশাপাশি উন্নতমানের সাইলেজ ও কাঁচা ঘাস খেতে দেওয়া হয়। তাকে গোসলের পাশাপাশি দুই বেলা হাঁটানো হয়। ১৪ লাখ টাকা দাম পেলে গরুটি বিক্রি করে দেবো।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম