টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নাছির মিয়া (১৮) নামে এক তরুণকে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
Advertisement
রোববার (১৮ জুন) দুপুরে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের আটিয়াচালা গ্রামের কুমের পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার নাছির উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের আটিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে আটিয়া শাহনশাহী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল। ওইদিন বিদ্যালয়ের গেটে দাঁড়িয়ে কয়েকজন যুবক ছাত্রীদের ইভটিজিং করছিলেন। নাছির যুবকদের চলে যেতে বলেন। তারা চলে যেতে না চাইলে একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে রোববার দুপুরে নাছির মিয়া ওই যুবকদের এলাকায় কাজের সন্ধানে গেলে তারা অতর্কিতভাবে হাতুড়ি, স্টাম্প ও লাঠিসোটা নিয়ে নাছিরের ওপর হামলা চালান।
Advertisement
তারা হাতুড়ি দিয়ে নাছিরের পায়ের নখ থেঁতলে দেন। হাতুড়ির আঘাতে ডান হাত ভেঙে যায়। এসময় নাছিরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দেলদুয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নাছিরের বাবা কালু মিয়া বলেন, ‘নাছির রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে। রোববার সকালে নাছির ওই এলাকায় কাজ করতে যায়। দুপুরে জানতে পারি আটিয়াচালা গ্রামের সাজেদুল ইসলাম (২০), আসিফ (১৭), শিপন মিয়া (১৮) ও হিঙ্গানগর গ্রামের শিহাব (১৮) মিলে আমার ছেলেকে আগের ঘটনার জের ধরে হাতুড়ি ও স্টাম্প দিয়ে পিটিয়েছে। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এটি মীমাংসার জন্য স্থানীয় দুই মেম্বারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফ উর রহমান টগর/এসআর/এএসএম
Advertisement