সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি ও চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বাবুল শেখ। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া ও বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সুযোগে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
বাবুল শেখ তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি দীর্ঘ সাত বছর তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ৩-৬ জুন মেয়র পদে ১৫ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তে চূড়ান্তভাবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার (৯ জুন) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়।
আব্দুর রাজ্জাক তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন মিয়ার ছেলে।
Advertisement
রোববার (১৮ জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল করিম তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখের পদত্যাগের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তার পদত্যাগ করায় স্থানীয় সরকারের বিধান অনুযায়ী ওই পরিষদে একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তাড়াশ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, পৌর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বাবুল শেখ পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ১৩ জুন ডাকযোগে দল থেকে অব্যাহতি নেওয়া প্রসঙ্গে একটি পত্র পাঠান। পত্রটি ১৫ জুন হাতে পাওয়ার পর গ্রহণ করা হয়। তিনি মূলত নৌকার বিপক্ষে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে এ অব্যাহতি নিয়েছেন।
এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার আব্দুস সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিলেন দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিতরা। এ বিক্ষোভ সমাবেশেও প্রত্যক্ষভাবে সোচ্চার ছিলেন বাবুল শেখ।
Advertisement
আগামী ১৭ জুলাই তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৮ জুন, বাছাই ১৯ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন।
এ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ২৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৪৬৭ জন, নারী ৯ হাজার ৮১৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন।
এম এ মালেক/এসআর/এএসএম