ওমান যে কোনভাবেই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না, সেটা জানা ছিলই। বৃষ্টিতে ভারি আবহাওয়ায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা সতর্ক ছিল বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্য কিছুটা সতর্কভাবেই শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খোলস ছাড়তে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। তামিমের ব্যাটিং তাণ্ডবে ওমানের সামনে ২ উিইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে পঁচা শামুকে বেশ কয়েকবার পা কেটেছে বাংলাদেশ। কানাডা, হংকংয়ের কাছে হারের স্মৃতিগুলো মাশরাফির স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়ার কথা নয়। আরেকবার যাতে পা কেটে না যায়, সে কারণে শুরু থেকে বেশ সতর্ক বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে খেলার লক্ষ্যে বাছাই পর্বের সর্বশেষ ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে কোনভাবেই যেন পা হড়কে না যায়, সে চেষ্টাই করছে টাইগাররা।ফলে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করলেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। ধর্মশালার বৃষ্টিস্নাত উইকেটে বোলাররা ভালো করবে। এ কারণে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিলেন ওমান অধিনায়ক সুলতান আহমেদ। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান নিলেন তামিম। দ্বিতীয় ওভারে একটি বাউন্ডারি মারলেও বেশ সতর্ক বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম। তার সঙ্গে সৌম্যও বেশ সংযম দেখানো শুরু করেন। শুরুটা সতর্ক হলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে তামিম ইকবাল। সতর্ক শুরু করতে সৌম্য সরকার নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ২২ বল খেলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ৭ম ওভারের ৫ম বলে বাংলাদেশের দলীয় ৪২ রানের মাথায় আউট হন সৌম্য।এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি বাধেন সাব্বির রহমান। তামিম-সাব্বির মিলে এরপর রীতিমত তাণ্ডব চালিয়ে যেতে শুরু করেন ওমানের বোলারদের ওপর। দু’জন মিলে গড়েন ৯৭ রানের বিশাল এক জুটি। ৩৩ বলেই হাফ সেঞ্চুরি করেন তামিম। এরপর ৬০ বলে করেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সাব্বির আউট হন ২৬ বলে ৪৪ রান করে। সাকিব অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।আইএইচএস/পিআর
Advertisement