নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায় হারুনুর রশিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Advertisement
রোববার (১৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শামিমা পারভিন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার দুবাইরজাইল গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব, একই গ্রামের আব্দুল বাকির ছেলে ছেলাল ওরফে সালাউদ্দিন, একই গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া, একই গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে সেলাম মিয়া ও রায়পুরা মাহমুদাবাদ গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জুয়েল। এদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও সেলাম মিয়া পলাতক আছেন। বাকি তিনজন কারাগারে আছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ জুন সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন হারুনুর রশিদ। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। একদিন পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাবো চুনাখালি ব্রিজ সংলগ্ন হোসেন আলীর বেগুন ক্ষেতের পাশের একটি ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হারুনের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
Advertisement
পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. আরিফুজ্জামান শামীম বাদী হয়ে বেলাবো থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অটোরিকশা চুরির সূত্রধরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে হাবিব, সালাউদ্দিন, রাসেল মিয়া, সেলাম মিয়া ও জুয়েলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও সেলাম মিয়া পলাতক আছেন। বাকি তিনজন কারাগারে আছেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নরসিংদী আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট এম এন অলিউল্লাহ ও অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান জামান ।
সঞ্জিত সাহা/এসজে/জেআইএম