জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, বর্তমান সরকার যক্ষ্মার নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করে আক্রান্তদের ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছে। যক্ষ্মা নির্মূলে সরকার খুবই আন্তরিক। জনগণকেও যক্ষ্মা নির্মূলে সরকারের ফ্রি সেবা নিতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। সরকার যক্ষ্মায় মৃত্যুহার শূন্যে নামাতে চায়। এ লক্ষ্যে যক্ষ্মা নির্মূলে ‘সংসদীয় ককাস’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Advertisement
রোববার (১৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির নেতৃত্বে এবং স্টপ ঢিবি পার্টনারশিপ-ইউএনওপিএস-এর সহযোগিতায় আইসিডিডিআর,বি এবং প্রিপ ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত ‘যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাস গঠন’ বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন ডেপুটি স্পিকার।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ. ফ. ম. রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রওশন আরা মান্নান, আহমেদ ফিরোজ কবির, মো. হাবিবে মিল্লাত, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, নুরুন্নবী চৌধুরী, ফখরুল ইমাম, বেনজীর আহমেদ, পংকজ নাথ, প্রাণ গোপাল দত্ত, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, বাসন্তী চাকমা, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান, নাজমা আকতার, ফেরদৌসী ইসলাম, আদিবা আনজুম মিতা, আরমা দত্ত, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, শামসুন নাহার, নার্গিস রহমান এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ প্রমুখ সংসদ সদস্যরা সভায় অংশ নেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর সুস্থ মানবসম্পদ তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষদের মূল্যায়ন করায় দেশ আজ চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ সব দিকে উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
শামসুল হক টুকু আরও বলেন, বর্তমানে যক্ষ্মা একটি সংক্রামক, প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য রোগ হলেও একসময় বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী এটি অসংখ্য মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। বর্তমানে দেশে এর ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও এখনো এর অস্তিত্ব রয়ে গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে যক্ষ্মা মোকাবিলা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সংসদীয় ককাস গঠন অগ্রণী পদক্ষেপ। কারণ, সংসদ সদস্যরাই পারেন তাদের অবস্থান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কথা জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আলোচনায় তুলে ধরতে।
সভায় সংসদ সদস্য মো. হাবিবে মিল্লাতকে সভাপতি ও আরমা দত্তকে সাধারণ সম্পাদক করে সংসদীয় টিবি ককাস গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআর,বি-র ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফিরদৌসী কাদরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে লাইন ডিরেক্টর, টিবি-এল অ্যান্ড এএসপি ডা. মো. মাহাফুজার রহমান সরকার, আইসিডিডিআর’বির সিনিয়র টিবিমিটিগেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন অ্যাডভাইজার ডা. আজহারুল ইসলাম খান, আইসিডিডিআর’বি ও প্রিপ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম
Advertisement