মোরেলগঞ্জ ও ইন্দুরকানির সীমান্তবর্তী সন্ন্যাসীঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ-মোংলা রুটে যাতায়াত করেন। ওই এলাকার বলেশ্বর নদীর দুই পাড়ে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ঘাটটি।
Advertisement
জনভোগান্তি লাঘবে ২০০৫ সালে এই ঘাট থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ২০০৭ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের তাণ্ডবে ঘাট ভেসে যাওয়ায় ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ১৬ বছরেও আর ফেরি চালু হয়নি।
হাবিব হোসেন নামে সন্ন্যাসীঘাট এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, স্থানীয় এমপিসহ সবাই কয়েকবার ফেরি চলাচলের বিষয়ে আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত তা চালু হয়নি। এতে ভোগান্তি দিনদিন বেড়েই চলছে।
রিকশাচালক হারেছ মোল্লা বলেন, এখানে ফেরি না থাকায় আমাদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা ওপারে যেতে পারি না। আমাদের জীবনযাপনে খুব কষ্ট হয়।
Advertisement
মোংলা থেকে বরিশালগামী যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বরিশাল আসার জন্য সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো এই ঘাটটি। তবে দীর্ঘদিন ফেরি না থাকায় এই জায়গায় এসে নদী পারাপারে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আনেছ জোমাদ্দার বলেন, আমাদের ব্যবসার জন্য প্রায়ই নদীর ওপাড়ে যেতে হয়। ফেরি না থাকায় আমাদের সবসময়ই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে নদীতে বেশি পানি এবং উত্তাল থাকায় ট্রলারে মালামাল আনা-নেওয়া করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
পিরোজপুর সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এই ঘাটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। এই রুটটি সংযুক্ত করে তাদেরকেও দ্রুত প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছি। অনুমতি পেলে যত দ্রুত সম্ভব ফেরি চালু করা হবে।
এমআরআর/জেআইএম
Advertisement