লিভার শরীরের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, যা ৫০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কাজ সম্পন্ন করে। আপনার খাওয়া খাবারকে লিভার শক্তিতে রূপান্তরিত করতে ভাঙ্গতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকেও সরিয়ে দেয়।
Advertisement
তাই লিভারে যে কোনো সমস্যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। লিভারের দীর্ঘস্থায়ী এক ব্যাধি হলো ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যা লিভারে চর্বি জমার কারণে হয়।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার কেন হয়? আক্রান্ত হলে দ্রুত যা করবেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফ্যাটি লিভার ডিজিজের প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে রোগটি বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরজুড়ে লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।
Advertisement
ফ্যাটি লিভারের রোগ চারটি পর্যায়ে বিকাশ লাভ করে। এর চতুর্থ ও শেষ পর্যায় সিরোসিস নামে পরিচিত। এনএইচএস ইউকে অনুসারে, ক্রমাগত ও দীর্ঘমেয়াদী লিভারের ক্ষতির কারণে সিরোসিস হয়।
যা লিভারে দাগের সৃষ্টি করে। ফ্যাটি লিভার থেকে গুরুতর লিভার সিরোসিসে আক্রান্তদের ত্বকে চারটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন-
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভারের রোগীরা কী খাবেন ও কী খাবেন না?
>> ত্বকে চুলকানি>> ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া>> কোমরের স্তরের উপরে ত্বকে ছোট লাল রেখা>> ত্বকে কালশিরা
Advertisement
লিভার সিরোসিসের অন্যান্য লক্ষণ
>> ক্লান্তি>> ক্ষুধা কমে যাওয়া>> ওজন কমানো>> বমি বমি ভাব ও বমি>> লিভার এলাকার চারপাশে ব্যথা>> ঘন ঘন নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া>> চুল পরা>> জ্বর ও কাঁপুনি আক্রমণ>> পা, গোড়ালি, পা ও পেটে ফুলে যাওয়া।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার সারাতে সত্যিই কি কফি উপকারী?
যদি আপনি উপরে উল্লিখিত উপসর্গগুলোর কোনোটি অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, কম থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, মেটাবলিক সিনড্রোম, ৫০ বছরের বেশি বয়সী হওয়া ও ধূমপানে আসক্তদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার থেকে পরবর্তী সময়ে লিভার সিরোসিস হতে পারে।
এর অগ্রগতি ধীর করার জন্য সময়মতো চিকিৎসা করা জরুরি। না হলে এটি এমন পর্যায়ে চলে যেতে পারে যে লিভার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। একে বলা হয় লিভার ফেইলিউর, যা মারাত্মক হতে পারে।
এই পর্যায়ে পৌঁছাতে সাধারণত কয়েক বছর সময় লাগে। তাই ফ্যাটি লিভার শনাক্ত হতেই জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ সেবন করুন। আর নিয়মিত চেকআপে থাকতে ভুলবেন না।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস