সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিম হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু বলে জানিয়েছেন জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদ।
Advertisement
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও অনেকে থাকতে পারেন। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাটহাটি মোড় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:‘নাদিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন চেয়ারম্যানপুত্র রিফাত’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ড একটি নারকীয় ও পৈশাচিক। এ কিলিং মিশনে হত্যাকারী কারা তাদের শনাক্ত করেছি এবং এর পেছনে কারা ছিল তাদেরও আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। এদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারে আমাদের পাঁচটি টিম মাঠে আছে। মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার বলেন, শুধু জেলা পুলিশ নয়, র্যাব, সিআইডি, পিবিআইসহ গোয়েন্দা টিম সমন্বয় করে কাজ করছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার নেপথ্যে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু তাকেও আটকের চেষ্টা করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা, বকশিগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জুম্মন তালুকদার, নিহতের পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় বাসিন্দাসহ সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: ‘আমার পোলাডারে বাবু চেয়ারম্যান মাইরা ফালাইছে’
Advertisement
সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিম বুধবার রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১০টায় তার মরদেহ পৌর শহরের বাসায় আসে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বকশীগঞ্জ নুর মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা ও গুমেরচর জিগাতলা ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রামের বাড়ি নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নে গুমেরচরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/এএসএম