হজ-ওমরা সংক্রান্ত এমন অনেক কাজ সমাজে চালু আছে, যাতে হজ কবুল না হওয়ার আশংকা রয়েছে। হজ-ওমরা উপলক্ষ্যে অনেকেই অনেক উৎসব আয়োজন করে থাকেন। কেউ দোয়ার আয়োজন করেন আবার কেউবা দাওয়াতের আয়োজন করেন। এসবের কোনো কাজই সঠিক নয়। অনেক ইসলামিক স্কলার আবার এসব কাজকে হজ-ওমরার বিদাত বলে থাকেন। হজ-ওমরা উপলক্ষ্যে যেসব কাজ করা যাবে না, তাহলো-
Advertisement
১. হজ করতে যাওয়ার আগে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্যে খাবারের আয়োজন করা।
২. হজ থেকে আসার পর ৪০ দিন কারো সঙ্গে কথা-বার্তা না বলে বাড়িতে অবস্থান করা। বাড়ি থেকে বের না হওয়া।
৩. হজ থেকে ফেরার পর বিশাল খাবারের আয়োজন করা।
Advertisement
৪. মিকাত পর্যন্ত পৌঁছার আগেই তালবিয়া পড়া। যেমন- কেউ বাড়ি থেকেই তালবিয়া পড়ে, কেউ বিমানবন্দর কিংবা হজ ক্যাম্প থেকেই পড়া শুরু করে।
৫. এক সফরে একাধিক ওমরাহ করা। যেমন- মসজিদে তানঈম থেকে বারবার ইহরাম বেঁধে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ওমরাহ করা। অনুরূপ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে তওয়াফ করা।
৬. মিনা, আরাফা, মুজদালিফা থেকে ফেরার আগেই তওয়াফে ইজাফা করা এবং সায়ি করা।
৭. বরকতের আশায় মক্কা বা মদিনা থেকে মাটি, পাথর, কঙ্কর নিয়ে আশা।
Advertisement
৮. বেশি বেশি তাসবিহ কিনে নিয়ে আসা। বরং আঙ্গুলে তাসবিহ গণনা করা।
৯. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কবুতর মনে করে কবুতর চত্বরের কবুতরগুলোকে গম কিনে খেতে দেওয়া কিংবা বরকতের আশায় সেখান থেকে গম নিয়ে আসা।
১০. বরকতের আশায় ইহরামের কাপড় জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে আসা এবং মৃত্যুর পর ঐ কাপড়ে কাফন পরানোর অসিয়ত করা।
১১. বরকত মনে করে জাবালে নুর তথা হেরা পাহাড়ের উপর উঠা এবং সেখানে নামাজ আদায় করা, জিকির করা, দোয়া করা।
১২. জাবালে রহমতের উপর উঠাকে ভাগ্যবান ও বরকতময় মনে করা।
এমএমএস/জেআইএম