নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাংলাদেশের যে অধিকার তার প্রতি সব বিদেশি রাষ্ট্র সম্মান দেখাবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেড় বছর আগে র্যাব ও সংস্থাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সম্প্রতি ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কড়াকড়ির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রতি চীনের সমর্থনের প্রতিক্রিয়ায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, আত্মসম্মানবোধ বজায় রাখে এমন যে কোনো দেশের মতো বাংলাদেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা সার্বভৌমত্বের চেতনার ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে অধিকার আছে, তার প্রতি সব পক্ষ সম্মান প্রদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: দ্বন্দ্ব নিরসনে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র
সেখানে আরও বলা হয়েছে, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রূপকল্প ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশিত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’, এমন পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে অধিকার আছে, তার প্রতি সব পক্ষ সম্মান প্রদর্শন করবেন।
Advertisement
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও তৎকালীন সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের ওপর যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হবে, সে সিদ্ধান্ত মার্কিন সরকার গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নয়া ভিসানীতিতে শঙ্কা-সম্ভাবনার দোলাচলে বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কেনাকাটায় কোনো দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা দিলে তাদের কাছ থেকে সরকার কিছু কিনবে না। এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান।
চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গতকাল বুধবার বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের জনগণের শক্তিশালী অবস্থান নয়, বরং তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বের বড় অংশের মনের কথাও বলেছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বে আরও দেশ আছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করবো
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে একটি নির্দিষ্ট দেশ (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে) নিজ দেশের জাতিগত বৈষম্য, বন্দুক-সহিংসতা এবং মাদকের বিস্তারের মতো ভয়াবহ সমস্যার প্রতি দৃষ্টিপাত না করে, দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে।
আইএইচআর/এমকেআর/জিকেএস