অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ফের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন একজন নারী আইনপ্রণেতা। লিডিয়া থর্প নামের এক আইনপ্রণেতা ওই অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি, পার্লামেন্ট ভবনটি নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। খবর এনডিটিভির।
Advertisement
সিনেটে কাঁন্নাজড়িত কণ্ঠে লিডিয়া বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে স্পর্শ করার পাশাপাশি বাজে মন্তব্য করা হয়েছে। ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাই এর সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন>কিডনি থেকে সবচেয়ে বড় পাথর অপসারণের রেকর্ড
থর্প বুধবার (১৪ জুন) একজন সহকর্মী সিনেটরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এঘটনার পর সংসদীয় নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলা হয়।
Advertisement
কিন্তু বৃহস্পতিবার থর্প রক্ষণশীল ডেভিড ভ্যানের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে দোষ অস্বীকার করেছেন ডেভিড ভ্যান।
ভ্যান বলেছেন, অভিযোগের কারণে তিনি ‘ছিন্নভিন্ন’ ও ‘ক্ষতবিক্ষত’ হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমকে অসত্য বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আরও পড়ুন>পাচার করা শুক্রাণুতে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ফিলিস্তিনি নারী
এদিকে অভিযোগের পরই লিবারেল পার্টি ভ্যানকে বহিষ্কার করেছে।
Advertisement
২০২১ সালের পর পার্লামেন্টের ভেতরে যৌন-নিপীড়ন ও হেনস্তার নানা অভিযোগে দেশটির রাজনীতিতে অস্থিরতা দেখা দেয়। রাজনৈতিক দূত ব্রিটনি হিগিন্স কনজারভেটিভ পার্টির এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের ভেতর তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেন। ২০১৯ সালের এক রাতে তিনি ধর্ষণের শিকার হওয়ার দুই বছর পর এমন অভিযোগ আনেন।
ওই সময় এক জরিপে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে কাজ করেছেন এমন প্রতি তিনজনে একজন যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
এমএসএম