নিষিদ্ধ সুগন্ধি
Advertisement
আমাকে ইতিহাস লিখতে বলে তুমি বন্ধ দরজার ওপারে বসে আষাঢ়ের মেঘকেদিয়েছো বিষমাখা স্বপ্ন। ফরমায়েশি প্রেম হাতড়ে খোঁজেকষ্টিপাথরের রক্তসিংহাসন। নিজ ঘরের আধাভাঙা চৌকাঠ গলে চলে এসেছে খাবলা খাবলা যন্ত্রণা।
দীনভিখারি আমি—মেঘ আর সমুদ্রের গর্জনের পীড়াপীড়িতে মনে পড়ে তোমার কথা। নিহত শিরার বৃষ্টিপুরুষ চৈতন্যের জটাজুটে অকেজো হওয়ার দিন গোনে। অমৃতকাতর হয়ে রৌদ্রখরুচে যৌবন আজ—জীবন থেকে চেঁছে নেওয়া নিষিদ্ধ সুগন্ধি ফেরত চায়।
****
Advertisement
নীরব ঘোড়ার খুর
ছায়ারা একে একে মানুষ হচ্ছে হৃদয়পোড়াচন্দন টিপ পরে। বুকের গোপন ঘরের বৃক্ষলতা, ঝোপঝাড় পৌঁছায় কাচঢাকা নগরে।
পাঁজর ভাঙা গৃহস্থালি নিয়ে টলোমলো ঠোঁট,দিঘিজলে খোঁজে তেঁতুলগোলা। নক্ষত্ররা বৃষ্টি বৃষ্টি খেলতে গিয়ে অনন্ত রাতে হয় না তাদের অন্ধকার তোলা।
কোমর কাদায় আটকে থাকা অনেক জীবনপালক-বাঁশিতে তোলে সুর। ডুবসাঁতারে অগোছালোক্ষ্যাপা নদীকে বিবাগী করে নীরব ঘোড়ার খুর।
Advertisement
এসইউ/জিকেএস