ফিচার

চিত্রনায়িকা শাবানার জন্ম

শাবানা একজন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক। তার আসল নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৬৭ সালে চকোরী চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে ১৩০টি চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে ছিলেন আলমগীর।

Advertisement

১৯৫৩ সালের ১৫ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শাবানা গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হলেও তার পড়ালেখা ভালো লাগত না। শাবানা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তাই ইতি ঘটে মাত্র ৯ বছর বয়সে। চলচ্চিত্রকার এহতেশাম ছিলেন তার চাচা। তার মাধ্যমেই শাবানার চলচ্চিত্রে আগমন হয়।

চলচ্চিত্রকার এহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এহতেশাম পরিচালিত নতুন সুর চলচ্চিত্রে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি ইবনে মিজান পরিচালিত আবার বনবাসে রূপবান (১৯৬৬) এবং পার্শ্বচরিত্রে মুস্তাফিজ পরিচালিত ডাক বাবু (১৯৬৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরের বছর ১৯৬৭ সালে এহতেশাম পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র চকোরী-তে কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এই চলচ্চিত্রে পরিচালক এহতেশামই তার ‘রত্না’ নাম বদলে শাবানা রাখেন।

তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা-মধু মিলন, অবুঝ মন, চৌধুরী বাড়ি, ভাত দে, ওরা ১১ জন, চকোরী, দোস্ত দুশমন, জননী, সখী তুমি কার, শেষ উত্তর, ছুটির ঘণ্টা, দুই পয়সার আলতা, নাজমা, রজনীগন্ধা, লালু ভুলু, মা ও ছেলে, নালিশ, ঘরের বউ, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, রাঙা ভাবী, গরীবের বউ, লক্ষ্মীর সংসার, সত্যের মৃত্যু নাই, স্বামী কেন আসামী, ঘরে ঘরে যুদ্ধ, স্ত্রীর পাওনা ইত্যাদি।

Advertisement

তিনি অভিনয়ের জন্য ১১ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।যেমন-প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্কার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার, সায়েন্স ক্লাব পুরস্কার, কথক একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় যুব সংগঠন পুরস্কার। এছাড়াও শাবানা মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব, রোমানিয়া চলচ্চিত্র উৎসব, কান চলচ্চিত্র উৎসবসহ আরও বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

কেএসকে/এএসএম