জাতীয়

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় গুরুত্বারোপ

জরুরি সাড়াদান কাজে দক্ষতা, কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি ও ব্যবসায়িক সংস্থাগুলোকে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে বৈচিত্র্য আনতে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে আগুন ও জলাবদ্ধতা শনাক্ত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং সম্প্রসারণে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলের স্ট্রেন্দেনিং আরবান পাবলিক প্রাইভেট প্রোগ্রামিং (সুপার) কনসোর্টিয়াম ‘স্মার্ট বাংলাদেশে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট সেক্টর এবং মিডিয়ার সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এক অধিবেশনে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। ৭ম আরবান ডায়ালগ- ২০২৩ এর অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয়।

আলোচকরা একটি দুর্যোগ সহনশীল নগর গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং সুপারিশ প্রদান করেন। তারা ব্যক্তিখাতের জরুরি সাড়াদান দল বা প্রাইভেট সেক্টর ইমারজেন্সি রেস্পন্স টিম (পিইআরটি) এবং পিইওসি সংগঠিতভাবে পরিচালিত করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওরের (এসওপি) উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, যে কোনো দুর্যোগে এখন প্রচুর দর্শক। কাজের চেয়ে অ-কাজের লোক বেশি হয়। ঢাকায় আর ভলান্টিয়ারের দরকার নেই। এখন ভলান্টিয়ার দরকার ঢাকার বাইরে। যাতে ঢাকা দুর্যোগে পতিত হলে ভলান্টিয়াররা এসে কাজ করতে পারেন।

Advertisement

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোখায় আমাদের কক্সবাজার, সেন্টমার্টিনে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাইক্লোন ও ফ্লাড সেন্টার তৈরি, জনবল নিয়োগ, ভলান্টিয়ারদের কল্যাণে এখন দুর্যোগে মৃত্যুহার কমছে। কিন্তু মিয়ানমারে ৫০০ মানুষ মারা গেলো। যদিও এখনো মিয়ানমার সরকার তা ঘোষণা করেনি।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর এখন ঢাকায় এক লাখ ভবন হচ্ছে, কিন্তু বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না। সীতাকুণ্ডে এক দুর্ঘটনা কিন্তু অনেক বড় ম্যাসেজ দিচ্ছে। সেখানে ঢাকার মতে শহরে যদি ভূমিকম্প হয় তবে ম্যাসাকার অবস্থা হবে। ভবন ধসের পাশাপাশি বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনা ঘটবে।

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সুপার প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম ম্যানেজার আ ম নাছির উদ্দিন দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট সেক্টর এবং মিডিয়াকে সম্পৃক্তকরণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি (আগুন ও জলাবদ্ধতা) নিরসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ইউরোপিয়ান সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অপারেশনসের (ইকো) প্রকল্পটি অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ইউনাইটেড পারপাস এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে।

Advertisement

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিস (ইউএনআরসিও) এই প্রকল্পের জন্য কৌশলগত সহায়তা সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।

এসময় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের পরিচালক সাগর মারান্ডি, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, ডিসিসিআইয়ের জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এবং পিইওসি-র ফোকাল পারসন খন্দকার আনোয়ার কামাল এবং ইউনাইটেড পারপাসের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীরামাপ্পা গণচিকারা।

টিটি/এমএইচআর/এএসএম