ক্যাম্পাস

বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, পানি মাড়িয়ে ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে বৃষ্টি থামার কয়েক ঘণ্টা পরও সজোরে সড়কের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির পানি। ফলে স্বাভাবিক চলাচলে কষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের।

Advertisement

বুধবার (১৪ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড, একাডেমিক ভবনগুলোর সম্মুখ, অর্জুনতলা, চেতনা একাত্তরের চারপাশ, ইউনিভার্সিটি সেন্টারে যাওয়ার রাস্তা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ক্লাস পরীক্ষা চলমান থাকায় বৃষ্টির মধ্যে জলাবদ্ধতার জায়গায় কাপড় একটু উঁচিয়ে জুতা হাতে একাডেমিক ভবনে ঢুকেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে জলাবদ্ধতা-এ দুই মিলিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অর্ধভেজা অবস্থায় ক্লাসে ঢুকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাসে অপর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে। জলাশয় ভরাট করে ভবন নির্মাণ, আগাছা ও ময়লা-আবর্জনায় পানি স্রোতে বাধাপ্রাপ্তি ও ক্যাম্পাসে প্রধান কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে এ ধরনের জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ফলে পানি সড়কের ওপর দিয়ে উপচে পড়ে। যার দরুন দুর্ভোগ পোহাতে হয় সংশ্লিষ্টদের।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি সড়কের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।

সৈয়দ মুজতবা আলী হলের দীপ্ত বণিক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, অল্প বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি হয়ে যায়। সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এরকম হয়েছে। প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে আশা করি অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর হবে।

এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অভ্যন্তরীণ ছড়া আছে এগুলোর সঙ্গে যদি পানি নিষ্কাশনের লাইনের সংযোগ দেওয়া হয় এবং এগুলো খনন করা হয় তাহলে এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।

পানি নিষ্কাশনের পথ সংস্কারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ আছে কি-না জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এ মুহূর্তে আমি কিছুই বলবো না। এটা নিয়ে নিশ্চয়ই কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যথা আছে।

Advertisement

নাঈম আহমদ শুভ/এসজে/এমএস