আন্তর্জাতিক

জাপানে সহকর্মীর গুলিতে দুই সেনা নিহত

জাপানে সহকর্মীর গুলিতে দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক সেনা। দেশটির মধ্যাঞ্চলে সামরিক প্রশিক্ষণের সময় এই ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। খবর বিবিসির।

Advertisement

এই ঘটনায় ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষানবিস সেনাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সময় বুধবার গিফু শহরে প্রশিক্ষণ চলাকালীন সহকর্মীদের দিকে রাইফেল তাক করে গুলি চালান অপর এক সেনা।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের রাস্তায় তিনটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজনের বয়স ২৫ বছর। বাকি দুই হতাহতের একজনের বয়স ২০ এবং অপরজনের ৫০ বছর। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

Advertisement

জাপানের গ্রাউন্ড সেলফ ডিফেন্স ফোর্স জানিয়ে, এই ঘটনায় কোনও বেসামরিক নাগরিকের যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সদ্য নিযুক্ত সৈনিকদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সামরিক অস্ত্র প্রশিক্ষণের সময় ওই সৈনিক তিনজন সেনা সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

হামলাকারী ওই সেনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে বলা হচ্ছে, তিনি সদ্য নিয়োগ পাওয়া সেনা সদস্য। জাপানে বন্দুক সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা বিরল হলেও গত বছর বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গত জুলাইয়ে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে বিক্ষোভকারীর গুলিতে নিহত হন। তিনি ছিলেন জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী। তার মৃত্যুতে পুরো দেশেই শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজ করেছে।

গত এপ্রিলেও জাপান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দেয়। সে সময় নির্বাচনী প্রচারণার সময় অল্পের জন্য বোমা হামলা থেকে বেঁচে যান দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় বিয়ের অতিথিদের বহনকারী নৌকা ডুবে শতাধিক নিহত

Advertisement

অপরদিকে গত মে মাসে, নাগানো অঞ্চলে এক ব্যক্তি ছুরি ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। প্রায় এক ঘণ্টার এই হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়। জাপানের কঠোর বন্দুক আইন জারি রয়েছে। বেসামরিকরা শুধু শিকারের রাইফেল এবং এয়ারগান কেনার অনুমতি পেয়ে থাকেন।

বুধবার, জাপানি মিডিয়ার ছবিগুলিতে পুলিশ এবং জরুরী যানবাহনগুলিকে গিফু শহরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চারপাশে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বন্দুক কেনার জন্য কঠোর পরীক্ষা এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

টিটিএন