জাতীয়

সন্ধ্যার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ

আসন্ন কোরবানির ঈদে প্রতিবছরের মতো সন্ধ্যার মধ্যে পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বুধবার (১৪ জুন) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এক সভা সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এ সভায় অংশ নেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণত সন্ধ্যার মধ্যেই পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এবারও সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে। এটা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে করে দূষণ না হয়।

Advertisement

তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানের বাইরে যত্রতত্র পশুর হাট বসানো যাবে না। কোনোভাবেই রাস্তার পাশে চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে পশুর হাট বসানো যাবে না।

পশু কোরবানি এবং দ্রুততম সময়ে পশুর বর্জ্য অপসারণে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কোরবানি পশুর বর্জ্য সূর্যাস্তের পূর্বেই সংগ্রহ করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক কমিটি করা হয়েছে যাতে কোরবানি পশুররক্ত ও বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা হয়। জনগণ উদ্বুদ্ধ ও সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ওসংগ্রহ করা সহজ হয় বলেও জানান তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, পশুর হাট যেন ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

এ সময় মন্ত্রী কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় মেশিন স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, এছাড়াও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সব আয়োজন রাখা হবে।

আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম